আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতির সম্মুখে কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০১৯, ১১:৫৮

লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় অর্ধ-শতাধিক ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে গাছ ও বাঁশ। ইট ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ জন। ধোঁয়ার বিষে ঝলসে যাচ্ছে বোরো ধানের ক্ষেত। মরে যাচ্ছে ইট ভাটার চারপাশের গাছপালা ও বাঁশ। 

এ ছাড়া জেলায় পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে গড়ে ওঠা একাধিক ইটভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। এতে প্রতি নিয়ত কমছে ওই এলাকায় আবাদি জমির পরিমাণ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনবসতি ও ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সব মহলকে ম্যানেজ করেই গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক ইটভাটা। পরিবেশ বান্ধব বলা হলেও আড়ালে গাছ ও বাঁশ কেটে পোড়ানো হচ্ছে ওই সব ভাটায়। ভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় চারপাশের পরিবেশসহ ফসলের অনেক ক্ষতি করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় লোকজন জানান, ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে রাতের বেলা আমরা ঘুমাতে পারছি না। বাচ্চারা শ্বাসকষ্টসহ নানা অসুখে পড়ছে। সেই সঙ্গে, এলাকাতে গাছপালা, ফসলি জমিজমা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিসের ক্ষতি হচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াই পাড়া, গেন্দুকুড়ি, নওদাবাস, সিঙ্গিমারী গ্রামে সড়েজমিন ঘুরে দেখা যায়, ইট ভাটার কারণে গত ১০ বছরের বেশি সময় থেকে ওই এলাকায় কমেছে ফসলি জমি এবং ফসলের উৎপাদন। ইটভাটার ধোঁয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ধোঁয়ায় লোকজন শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গেন্দুকুড়ি গ্রামের আশরাফ হোসেন বলেন, ইটভাটার কারণে আমাদের ইরি বোরো ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি ভাটা মালিকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, ইট ভাটার ধোঁয়ার কারণে পরিবেশ ও ফসলসহ লোকজনের ক্ষতি হলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবো। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ইটভাটার জন্য ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে, এই বিষয়গুলো আমাদের নজরে এসেছে। এসবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক। 

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ