কয়রায় মুনাফা লাভের আশায় বাগদা চিংড়িতে চলছে সাগু ও জেলি পুশ করা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০১৯, ১১:১২
কয়রায় বাগদা চিংড়িতে সাগু, জেলি অবাধে পুশ করে বাজারজাত করা চলছে পুরোদমে। ফলে চিংড়ির গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আর অসাধু ফড়িয়া চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত মুনাফা।
সূত্র জানায়, উপজেলার শতাধিক খুচরা চিংড়ি ব্যবসায়ি দৈনিক স্থানীয় দেউলিয়া বাজার মৎস্য কাটাসহ অন্যান্য মৎস্য কাটা ও চিংড়ি ঘের থেকে সকাল বেলায় মণ মণ বাগদা চিংড়ি কিনে নিয়ে স্ব স্ব ডিপো ও বাড়িতে নিয়ে নারী ও শিশু শ্রমিক দিয়ে পানি মিশ্রিত অপদ্রব্য পুশ করা শুরু করে। ২/৩ ঘন্টা ধরে পুশ কার্যক্রম শেষে ড্রাম ভর্তি বিপুল পরিমাণ বাগদা চিংড়ি ভ্যানে উঠিয়ে বেলা ১১টার পর মৎস্য কাটায় নিয়ে পাইকারী ব্যবসায়িদের নিকট বিক্রি করে।
বেলা ৩টার পর ট্রাক ও মিনি ট্রাক ভর্তি টন টন চিংড়ি দেউলিয়া বাজার মৎস্য কাটা থেকে খুলনা ও ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে দেখা যায়।
কয়রা সদরের ১নং মাঝের আইট, ৬নং কয়রা, কাটকাটা, কাশিরহাট, দেয়াড়া, হোগলা, চাদালি, ফুলতলাসহ উপজেলার শতাধিক জায়গায় চিংড়িতে অপদ্রব্য মেশানো হচ্ছে দেদারসে। প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস দিব্যি অসাধু চক্রগুলো পুশ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ তেমনটি নয়।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঝে মাঝে মৎস্য কাটায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে নগদ জমিমানা আদায় করেন। তারপরও থেমে নেই পুশ কার্যক্রম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শ্রমিক জানায়, পানি মিশ্রিত সাগু ও জেলি পুশ করায় প্রতি কেজি বাগদা চিংড়ির ওজন দাঁড়ায় ১১শ থেকে সাড়ে ১১শ গ্রাম। ফলে প্রতি কেজি চিংড়িতে অতিরিক্ত ৫০/৬০ টাকা বাড়তি আয় হয় তাদের। আর এই পুশ করা চিংড়ি বিদেশে রপ্তানির পর চিংড়ির গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বহুবার।
চিংড়ির আমদানীকারক দেশগুলো অনেকবার পুশের দায়ে বাংলাদেশের হিমায়িত চিংড়ির বড় চালান ফেরতও দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আলাউদ্দিন বলেন, চিংড়িতে পুশ করা দন্ডনীয় অপরাধ। কারা কোথায় কিভাবে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করছে সেটি নিশ্চিত হতে পারলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিএন/শহীদুল্লাহ শাহীন/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ