আজকের শিরোনাম :

সুবর্ণচরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০১৯, ১৩:০৮

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে আমেনা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে নিহতের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

পুলিশ গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করলেও নিহতের তিন বছরের শিশু কন্যা মেঘলা বলছে, “আমার বাবা (শেখ ফরিদ) মা কে মেরেছে (মারধর করা)।” এর বেশি কিছু বলতে পারছে না সে। 

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পশ্চিম চরমজিদ গ্রামের লিটনের বাড়ি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আমেনা বেগম দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের রবিউল হকের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে আছরের নামাজের পর আমেনাকে রান্না ঘরে রান্না করতে দেখেছে বাড়ির লোকজন। ৫টার দিকে তাদের ঘর থেকে মেয়ে মেঘলার কান্নার শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন ভেতরে গিয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় আমেনাকে দেখতে পায়।  

নিহতের ভাই আবুল বাসার জানান, ২০১৫ সালে পশ্চিম চরমজিদ গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে শেখ ফরিদের সাথে আমেনার বিয়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকে ফরিদ যৌতুকের জন্য আমেনাকে মারধর করতো। পরে নিরুপায় হয়ে যৌতুকের টাকা বাবদ ফরিদকে একটি সিএনজি নিয়ে দেন তারা। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে টাকার জন্য পুনরায় আমেনাকে মারধর করতে থাকে ফরিদ। বিষয়টি আমেনা তাদের জানিয়েছিলেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে আমেনা যখন রান্না করছিল তখন ফরিদ বাড়িতে আসে এবং রান্না ঘর থেকে বসতঘরে নিয়ে আমেনাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য আমেনার লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ফরিদ।  

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/গোলাম মহিউদ্দিন নসু/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ