আজকের শিরোনাম :

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ইউনুছের লাশ ফেরত চাই পরিবার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০১৯, ১২:৪৬

কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে একদিন বিদেশে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন ফুলবাড়ীয়া ইউনুস আলী। মেয়েদের বিয়ে দিবে হবে আর ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করাতে হবে। এতে অনেক টাকা প্রয়োজন তাইতো পান-পাতা বিক্রি থেকে শুরু করে কাঁচামাল বিক্রি, পোল্ট্রি ব্যবসা এমন কি জীবিকার তাগিদে ভ্যানও চালিয়েছেন তিনি।  

কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। তাই ভাগ্যের পরির্বতন ঘটাতে দেশ ছেড়ে সৌদি আরব (বিদেশ) পাড়ি দিয়েছিলেন ইউনুছ। ভাগ্য তার সাথে পরিহাস করলো। এক মাস আগে সৌদি গিয়ে ও কাজে যাওয়ার প্রথম দিনই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারকে অকুল সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ইউনুস। 

বিদেশ যাওয়ার সময় ইউনুছ তার মা-বাবা, স্ত্রীকে বলে গিয়েছিলন বিদেশ থেকে এসে ২ মেয়েকে বিয়ে দিবে আর ৪ বছরের একমাত্র ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়াবে। কিন্তুু পরিবারের সকল আশাই নিরাশা হয়ে রইল পরিবারে। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনে মা-বাবা পাগল প্রায়।

সৌদি আরবের শাকরা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ বাংলাদেশির একজন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর (পাহাইরা) গ্রামের মো. আব্দুল খালেক ও আমেনা খাতুন এর একমাত্র ছেলে ইউনুস আলী। পাসপোর্ট- বিওয়াই ০৫২৫৪৯৩। প্রায় ১ মাস ৫ দিন আগে সৌদি আরবের রিয়াদে শ্রমিক ভিসায় গিয়েছিলেন ইউনুস। 

ইউনুছের জেঠাতো ভাই আবু তালিব বলেন, ২ কাঠা জমি বিক্রি, ব্যাংক থেকে ঋণ, সুদে ঋণ করে বিদেশ গিয়েছিলেন  এখন তার বাবা-মা স্ত্রী, সন্তানাদিদের কী উপায় হবে।  

বাবা আব্দুল খালেক বলেন, আমার বাবার (ইউনুস আলী) লাশ চাই। আমরা কই যামু লাশ আনবার লাইগা। লাশ আনবো সেই টাকাও আমাদের নাই।

গত বুধবার সকালে রিয়াদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে শাকরায় ১৭ জন বাংলাদেশিকে বহনকারী একটি মিনিবাস চাকা ফেটে উল্টে যায়। এতে ১০ বাংলাদেশি নিহত হন। তারা সবাই আল হাবিব কোম্পানি ফর ট্রেডিং কর্মাশিয়াল কন্ট্রাক্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস গত বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে 

এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/গালিব/জসিম 
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ