ঘূর্ণিঝড় ফণীর তান্ডবে কয়রার শাকবাড়িয়া বেড়িবাঁধ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০১৯, ১৭:৪৮
প্রলংকরী ঘুর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে সুন্দরবন উপকুলীয় কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/১ পোল্ডারের শাকবাড়িয়া বেড়িবাঁধের ৯শ মিটার ও ১৩-১৪/২ পোল্ডারের ঘাটাখালি হরিণখোল বেড়িবাঁধের ৬শ মিটার বেড়িবাঁধ মারাক্তক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এ দু’টি বাঁধের অবস্থা এতটা নাজুক আকার ধারণ করেছে যেকোন মুহুর্তে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা লোনা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক বাতা পেয়ে স্থানীয় লোকজন গত দু’দিন ধরে বাঁধে মাটি ফেলা অব্যাহত রেখেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আক্তারুজ্জামান বাবু, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যাান আলহাজ এসএম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা ঘাটাখালি ও শাকবাড়িয়া বেড়িবাঁধ রক্ষার কাজ তদারকি করছেন। গতকাল দুপুরে সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ক্ষতিগ্রস্থ শাকবাড়িয়া বেড়িবাঁধ পরিদর্শণ করে লোকজনদের বাঁধ রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় তুফানে চিকন বাঁধ উপচিয়ে পানি ভেতরে পানি প্রবেশ করে। এরপর তিনি ঘাটাখালি বেড়িবাঁধে গিয়ে জোয়ারের চাপে উপচেপড়া পানি দেখতে পেয়ে বেড়িবাঁধ রক্ষার কাজে নিয়োজিত লোকজনদের বাঁধ মেরামত কাজে উৎসাহ দেন। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান, উপসহকারী প্রকৗশলী মশিউল আবেদিন উপস্থিত থেকে জলোচ্ছাসের কবল থেকে বেড়িবাঁধ রক্ষায় ১৪ হাজার বস্তা ও শ্রমিকদের নগদ অর্থ প্রদান করেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে জোড়শিং, মেদেরচর, গোলখালি, ঘড়িলাল, আংটিহারা, কাটকাটা, কাশিরহাট, দশালিয়া, লোকা, মঠবাড়ি বেড়িবাঁধে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাফর রানা। ফণীর আঘাতে উপজেলার ৭টি ইউয়িনের ৫শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও কয়েকহাজার বৃক্ষ উপড়ে গেছে। কয়েকজন আঘাত পেলেও কোন প্রাণহানি ঘটেনি জানান।
এবিএন/সজল কুমার দাস/জসিম/তোহা
এবিএন/সজল কুমার দাস/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ