আজকের শিরোনাম :

ভোলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০১৯, ১০:৫২ | আপডেট : ০৫ মে ২০১৯, ১১:২০

ভোলায় ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত  হয়েছে। এ সময় ঝড়ের প্রভাবে রাস্তার উপরে অনেক গাছ পরে থাকে। 

গতকাল শনিবার ঝড় শেষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় উদ্ধার কাজ করেছেন ভোলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকরা। তারা দিনভর সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোরালিয়া, শান্তির হাট, বালিয়া গ্রামে রাস্তার উপরে পড়ে থাকা গাছ এবং গাছের ডাল সরিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছেন রেড ক্রিসেন্ট এর স্বেচ্ছাসেবকরা। 

রাত ৩টা থেকে ভোলায় ভারী বৃষ্টি ও বাতাস হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়াসহ রাস্তার উপরে গাছ  ভেঙে পড়ে। 

রেড ক্রিসেন্ট এর স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলস প্রচেষ্টায় রাস্তার উপর থেকে ভারি গাছপালা কেটে ও সড়িয়ে দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনতে এবং চলাচলের জন্যে প্রধান প্রধান সড়কের গাছ গুলো  কেটে সড়িয়ে   ফেলে।

ভোলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী মো. আজিজুল ইসলাম জানায়, আমরা ঘুর্ণিঝড় ফনী মোকাবেলায় উপকূলের মানুষদের মাইকিং করে সচেতন করছি। ঘুর্ণিঝড়ের আগে মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেছি। 

ঘুর্ণিঝড়ের পরে যাতে মানুষের চলাচল করতে কষ্ট না হয় তার জন্য আমাদের ভোলা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের দক্ষ ভলেন্টিয়াদের নিয়ে রাস্তার উপর পরে থাকা গাছপালা অপসারণ করে চলাচলের উপযোগী করে দিতে কাজ করেছি। 

এ ছাড়াও নিহত পরিবারকে ও ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতি নিরুপণ করে রেড ক্রিসেন্ট এর সদর দপ্তরে প্রেরণ করেছি। আশাকরি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য সহায়তা করতে পারবো।  

উদ্ধার কাজ পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু, প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান সাদ্দাম হোসেন, সাকিব, এ্যানি, সুমনসহ ১৫ সদস্যের যুব  স্বেচ্ছাসেবক দল। 

এবিএন/আদিল হোসেন তপু/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ