আজকের শিরোনাম :

লাখো মানুষের কান্না: লক্ষ্মীপুরে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধে ধস!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০১৯, ২১:৫৭

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঢেউ ও জোয়ারের আঘাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে। এতে নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ধস ও ভাঙন ঠেকাতে যত দ্রুত সম্ভব বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, শুক্রবার (৩ মে) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দুই দফায় মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে প্রায় ১০০ মিটারে ধস নামে। ফণীর প্রভাবে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে সাড়ে চার ফুট বেড়ে গেছে। ঢেউয়ের আঘাতে উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধের দক্ষিণ অংশে ধস নামে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মূসা জানান, মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় সাড়ে চার ফুট পানি বেড়েছে।  জোয়ার ও উত্তাল ঢেউয়ে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মেঘনা নদী উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে।  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট, কমলনগর, রায়পুর ও রামগতির নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলেদেরকে নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ও চরে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসার জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে ১০০টি সাইক্লোন শেল্টার ও নদী তীরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জনগণ ও জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ৬৬টি মেডিকেল টিম, সরকারি বরাদ্দের ৩৭৫ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনা খাবার ও ৮ লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়। জরুরি সেবা প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ।

 এবিএন/আবির আকাশ/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ