আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০১৯, ২২:১৬

শ্রীলংকায় জঙ্গি হামলা ও আইএসের ‘হুমকি’র পরিপ্রেক্ষিতে লালমনিরহাটের বিভিন্ন সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিজিবি’র দাবি, তারা সতর্ক আছেন। আর সীমান্তের পরিবেশও ভালো আছে। র‌্যাব বলছে, গত ৩ মাসে জেলার সীমান্তবর্তী পাটগ্রামে ৩ জনসহ রংপুর বিভাগে ৩৬ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজিবি ও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা সীমান্তবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলে সাংগঠনিক তৎপতা শুরু করে। বড় ধরনের বেশ কটি নাশকতারও পরিকল্পনা করে তারা। এদের ধরার জন্য বেশ কিছু দিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। এর অংশ হিসেবে র‌্যাব সদস্যরা লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ  কয়েক জন জেএমবির সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি ও জেহাদি বই উদ্ধার করা হয়। গত তিন মাসে রংপুর র‌্যাব ৩৬ জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে জেলার সীমান্তবর্তী পাটগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২২টি অস্ত্র। এদের অধিকাংশ সীমান্ত এলাকার। বর্তমানে বুড়িমারী স্থলবন্দর বন্দরে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারীদের কঠোর নজরে রাখা হচ্ছে।

সন্দেহভাজন হলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি অথবা অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য প্রবেশ কিংবা দেশত্যাগ করে ভারতে যেতে না পারে সেদিকে নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিজিবি’র রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ফুয়াদ বলেন, সীমান্তের পরিবেশ ভালো। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। স¤প্রতি কিছু ঘটনায় সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কাউকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনো নাশকতাকারীই সীমান্তের এপার কিংবা ওপারে যেতে পারবে না।

রংপুর র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে জঙ্গিদের বেশকটি নাশকতার পরিকল্পনা নষ্ট করে তাদের গ্রেফতার করেছি। তাদের বেশির ভাগই সীমান্তবর্তী এলাকার। তাই সীমান্তে আমরাও নজরদারি বাড়িয়েছি। আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি। এ অঞ্চলে জঙ্গি কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ