আজকের শিরোনাম :

বাউফলে ৪ ডাক্তার দিয়ে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০১৯, ১৩:১২

পটুয়াখালীল বাউফল উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২০ ডাক্তারসহ ৩৬টি পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্য সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ উপজেলার  ৪ লাখ লোকের জন্য বর্তমানে ডাক্তার রয়েছে মাত্র ৪ জন। 

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাউফল হাসপাতালকে ২০১১ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নত  করা হয়। কিন্তু ৮ বছরেও জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাই ধুকে ধুকে চলছে স্বাস্থ্য সেবা। ভোগান্তীর শিকার হচ্ছেন সাধারন মানুষ। 

এ হাসপাতালে ১০ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট, ১০ জন সহকারী সার্জনসহ ২৪ জন ডাক্তার থাকার কথা । সেখানে আছে মাত্র ৪ জন। এ ছাড়াও নাসিং সুপার ভাইজার ১, ইএমও এমও ইনডোর ৩, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ফিজিও) ১,  প্যাথলোজিস্ট ১, প্রধান সহকারী ১, হিসাব রক্ষন ১, হেলথ এডুকেটর ১,  কম্পাউন্ডার ১, কার্ডিওগ্রাফার ১, ল্যাব এটেনডেন্ট ১, টিকেট ক্লাক ১, ওটি বয়/ওটি এটেনডেন্ট ১, ইমারজেন্সি এটেনডেন্ট ১, ও স্ট্রেচার বয়ের পদ  ১টি শূন্য রয়েছে।  

অপরদিকে বাউফল হাসপাতালে এক্সরে মেশিনটি অধিকাংশ সময় অচল থাকে। ২০০৫ সালে এক্সরে মেশিনটি স্থাপন করার পর মাত্র ৪ বছর সচল ছিল। তার মধ্যে ১২ বার মেশিনটি মেরামত করা হয়। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জেনারেটটি ৮ বছর ধরে অচল হয়ে পরে আছে। সচল করার উদ্যোগ না নেয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে গোটা হাসপাতাল অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে পরে। সরকার এ হাসপাতালে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে মাও ও শিশু বিভাগ চালু করলেও বর্তমানে তা মুখ থুবরে পরে আছে। গাইনী সার্জন না থাকায় সিজার করা যাচ্ছেনা। ফলে অপারেশন থিয়েটারটি ৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। মাঝে মাঝে এখানে প্রসূতি মায়ের নরমাল ডেলিভারী করানো হয়। 

বাউফল ৫০ শয্যা হাসপাতালের মূল ফটকের কলাপসিবল গেট ২০০৮ সাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন তিনতলা ভবনের নির্মাণের সময় প্রবেশ পথের প্রধান ফটক বা গেট পশ্চিম দিকে প্রধান সড়কের পাশে নির্মাণ করার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তা করা হয়নি। 

তাই নতুন ভবনের প্রবেশ পথের কলাপসিবল গেট তালা বদ্ধ অবস্থা থাকায় পূর্ব পাশের পকেট গেট দিয়ে হাসপাতালে যাতায়ত করতে হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, এ হাসপাতালের শূন্য পদে পূরণের জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক বার আবেদন করা হয়েছে। কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি দ্রুত শূন্য পদগুলো পূরণ করে উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। 

এবিএন/মো. দেলোয়ার হোসেন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ