আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে গৃহবধূকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠালো চেয়ারম্যান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০১৯, ১২:২৯

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বাক বিতন্ডার জের ধরে মাহিমা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে বেধরক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদের বিরুদ্ধে।

গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বুড়িমারী উফারমারা গুড়িয়াটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরে মাহিমা বেগম বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে জমি জবর দখলের একটি বিচার দেয়া হয় চেয়ারম্যান নিশাতকে। কিন্তু বিচারে চেয়ারম্যান প্রতিপক্ষের অবস্থান নেওয়ায় মাহিমা বেগম ও তার স্বামী শামসুল হকের সাথে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। 

এ কারণে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মাহিমা বেগম ও তার স্বামীকে বিভিন্নভাবে হুমকী ধামকী দেয়। এরই জের ধরে গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে চেয়ারম্যান নিশাতের নেতৃত্বে রফিকুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান ও রুবেলসহ তার লোকজন বাদী মাহিমার বাড়িতে হামলা করে ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে মাহিমাকে এলোপাতারী মারধর করে। এতে মহিমার বিভিন্ন অঙ্গে ফুলা জখম ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায়। বর্তমানে মহিমা পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। 

এ বিষয়ে বাদী মাহিমা বেগম জানায়, মতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি আমার জমি জবর দখল করে। এ ঘটনায় আমি চেয়ারম্যানকে বিচার দিলে চেয়ারম্যান সুবিচার না করে উল্টো মতিয়ারের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ কারণে চেয়ারম্যানের সাথে আমাদের বাক বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান রাতে তার লোকজন নিয়ে আমার বাড়ীতে আসে কিছু বোঝার আগে তিনি ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন আমার বাড়ি ভাংচুর করে ও আমাকে মারধর করে। আমার স্বামী ও ছেলে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পারেনি। 

বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, মাহিমা অনেক আগে থেকে পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত। বিভিন্ন জায়গা থেকে মেয়ে নিয়ে এসে তার বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালাতো। তাই এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩০ এপ্রিল রাতে তার বাড়িতে একটি মেয়েসহ আটক করে তার বাড়ি ভাংচুর ও তাকে মারতে থাকে। 

এ সময় আমি আমার ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য ও গ্রাম পুলিশসহ তার বাড়িতে গিয়ে তাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করেছি মাত্র। 

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আলী জানায়, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ