আজকের শিরোনাম :

কাপাসিয়ায় মৎস্য চাষিদের খাদ্য উপকরণ বিতরণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:২১

গাজীপুর জেলাধীন কাপাসিয়া উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রজেক্ট (এনএটিপি-২) প্রকল্পের আওতায় মৎস্য চাষিদের মাঝে খাদ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে দুপুরে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. ইসমত আরা’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আমানত হোসেন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা সরকার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: হারুন অর রশিদ, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা জহিরুল আমীন, ফিল্ড সহকারী মজিবুর রহমান, অফিস সহকারী হামিদা আক্তার, মৎস্য সিআইজি মৎস্য চাষি খালেদা বেগম, আ: সাত্তার সরকার ও মো. ইব্রাহিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের ২২ জন সিআইজি গ্রুপের ১৮ সদস্যের মাঝে প্রতিজনকে ২০০ কেজি মাছের দানাদার খাদ্য ৩০ কেজি কার্প জাতীয় মাছের পোনা সাইনবোর্ড এবং ৪ সদস্যকে কার্প নার্সারী চাষীকে রেনু খৈল, নার্সারী পাউডার ও সাইনবোর্ড বিতরণ করেন।

ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প (২ পর্যায়) এর আওয়াতায় ৪ মৎস্য চাষীকে মাছের খাবার ১০২৫ কেজি, স্টার্টার-১০০ কেজি, গ্রোয়ার-৩০০ কেজি, পাউডার ৬০ কেজি, প্রিস্টার্স্টার-১০০ কেজি, ১টি সাইনবোর্ড ও জৈব সার, প্রভৃতি বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মৎস্য খাত বাংলাদেশের প্রধান উৎপাদনশীল খাতগুলোর মধ্যে একটি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩য় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে।

এ জন্য এ খাতকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি উপজেলায় মৎস্য চাষিদের মাঝে ধারাবাহিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে খাদ্য উপকরণ। এ জন্য দরকার প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনীর। কারণ প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, স্থানীয় প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে মৎস্য চাষ করতে হবে এবং মাছ চাষে বিস্তার ঘটাতে হবে।


এবিএন/নুরুল আমীন সিকদার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ