আজকের শিরোনাম :

কলাপাড়ায় ভাঙা টিনের ঘরে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:২৯

উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব টিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাঙ্গা টিন সেড ঘরে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পাঠদান। প্রতিদিন বেড়ার ভাঙা টিনে হাত পা কেটে রক্তাক্ত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঝাজরা টিনের ছাউনির অসংখ্য ছিদ্র দিয়ে পানি পরে ডুবে যায় ভাঙা মেঝে। 

গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব টিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরা জীর্ণ টিন সেড ঘরে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অংশ নিতে উপস্থিত হয় শতাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক শাহিনা আকতার জানান, ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পরে ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনায় সি গ্রুপে বিদ্যালয়টি সরকারি করা হয়। বর্তমানে স্কুলে ১২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

নিকটবর্তী অভিভাবক মো. পান্নু মোল্লা বলেন, স্কুলেটির পড়া লেখার মান ভাল তবে স্কুল ঘরটি ভাঙা থাকায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে শংকিত থাকি। প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হয় কোন না কোন শিক্ষার্থী। গত মাসে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ইমন ভাঙা মেঝেতে হোচট খেয়ে পরে বাম হাত ভেঙে যায়।  বেড়ার ভাঙা টিনে হাতের আঙ্গুল কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী আশা মনির। ২য় শ্রেণীর আরাফাত ও ফাতেমার হাত পা কেটে যায় টিনের ভাঙ্গা বেড়ায়।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামাল মোল্লা জানান, এ বছর বর্ষা শুরুর আগে টিন সেড ঘরটি মেরামত করা খুবই জরুরী তা না হলে বর্ষা মৌসুমে পাঠদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আমাদের স্কুলটি অবকাঠামোর দিক থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত। পাঁকা ভবন না থাকার কারণে ঝড়েরের কবলে পরে টিনের ঘরটি বহু বার বিদ্ধস্ত হয়েছে যা কোন মতে জোড়া তালি দিয়ে চলছে। 

টিয়াখালী নদীর কাছে অবস্থিত স্কুলটির চারিদিকে যাতায়াতের প্রায় ৫ কি.মি. মাটির রাস্তা বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় তাই কোমলমতি শিক্ষার্থরা চরম ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে। তাই রাস্তাগুলো পাঁকা করা জরুরী প্রয়োজন বলে একাধিক অভিভাবক জানান। 

এ ছাড়া সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলটি রয়েছে সম্পূর্ন অরক্ষিত। এলাকার শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য স্কুলটির অবকাঠামো উন্নয়নসহ যোগাযোগের রাস্তা পাঁকা করার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, স্কুলটির পাকা ভবন নির্মাণ ও দ্রুত সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। স্কুলের সাথে যুক্ত সকল কাঁচা রাস্তাগুলো পাকায় উন্নতি করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে। 

পর্যায় ক্রমে প্রতিটি স্কুলের নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর তৈরীর সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।

এবিএন/তুষার হালদার/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ