আজকের শিরোনাম :

রুমায় কাজু বাদামের ভালো দামে লাভবান চাষীরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:১৫

বছর দশেক ধরে অবহেলিত কাজু বাদামের হঠাৎ চড়া দাম ওঠায় নড়েচড়ে বসেছে ফল বাগান চাষীরা। বান্দরবানের রুমায় কাজু বাদামের বাম্পার ফলন না হলেও আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি দাম হওয়ায় বেশ সন্তুষ্ট কাজু বাদাম চাষীরা। 

গত বছর দাম উঠে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা, কিন্তু এবার কাজু বাদামের দাম উঠানামা করছে ৪ হাজার ৫ শত হতে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। 

চাষীরা বলছেন শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেটের হাত না থাকলে এ বছর কাজু বাদামের দাম উঠতো কম করেও ৮ হাজার টাকা। কাজু বাদামের ব্যবসা করে মধ্যস্বত্ব ভোগী ব্যবসায়ীরাও খুশিতে রয়েছেন। কাজু বাদামের চড়া দাম এবং চাষ বেশ ঝামেলাহীন হওয়ায় এর চাষাবাদ বেড়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এ ফসলের চাষ বাড়াতে সরকার ইতোমধ্যেই তিন পার্বত্য জেলায় প্রকল্প প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। 

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে রুমা উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে কাজু বাদাম চাষাবাদ হয়, চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবার কাজু বাদাম চাষের সাথে সম্পৃক্ত।  চলতি বছর হেক্টর প্রতি ২.৫ মেট্রিক টন করে মোট ৫ শত মেট্রিক টন কাজু বাদাম উৎপাদিত হতে পারে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। রুমার বটতলী, আমতলী, পলিতং, ময়ুর পাড়ার বাসিন্দারা কয়েক দশক ধরে বাজু বাদাম চাষ করে আসছে। 

কোন রকমের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি সহায়তা ছাড়াই পাহাড়ি ঢালু জমিতে তারা এ ফসলের চাষাবাদ করে আসছে, উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে চাষীরা সরকারি কোন প্রণোদনা কিংবা উৎসাহ পাননি। চাহিদা সারা পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক হলেও সম্ভাবনাময় এ খাতটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত পড়ে রয়েছে। 

স্থানীয়দের অভিমত অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করে সহজ শর্তে ঋণ, প্রশিক্ষণ, তথ্য সহায়তা এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করলে দেশের কয়েক লাখ লোকের অর্থনৈতকি সমৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। 

তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কাজু বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত। 

এবিএন/চনুমং মারমা/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ