আজকের শিরোনাম :

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে পাঠদান!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ২২:০৯

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে চলছে পাঠদান। সেখানে আগামীর প্রজন্মরা বিদ্যা গ্রহণ করে। বিদ্যালয়টির কক্ষের ছাদের বিম ফেটে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে পাঠগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। যেন কোন মুহুর্থে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুঘর্টনা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যেন দেখার কেউ নেই।

জানা গেছে, ১৯১৪ সালে কালুপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এর পর থেকেই ছেলে-মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে এই বিদ্যালয়টি। ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে একটি ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনের জন্য বরাদ্দ পাওয়ার পর তৈরি করা হয় স্কুলের ভবনটি। গত ২-৩ বছর আগে ভবনটির ৩ কক্ষের ছাদের বিম, ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরে। দিন দিন সেই ফাটল বারতেই থাকে। গত কয়েক মাস আগে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুটা মেরামত করে রেখেছে। আবার একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি পরে। বর্তমানে নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে এই বিদ্যালয়টি। প্রতি বছর এই বিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে থাকে। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাদের বিমসহ এই সব ফাটল।

কালুপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আয়শা আক্তার বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে পাঠগ্রহণ করছি। দ্রুত এই সমস্য সমাধান না হলে যে কোন মুহুর্থে দুঘর্টনা ঘটতে পারে।

কালুপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কামরুন নাহার জানান, বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ১৫০ জন শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহন করছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে।

কালুপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ভবনটির ছাদের বিম, ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরেছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বিষয়টি জানিয়েছি।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রইচ উদ্দিন জানান, যদি এই সমস্যা সমাধান না করা হয় তাহলে যে কোন মুহুর্থে বড় ধরনের দুর্ঘটানা ঘটতে পাড়ে। তাই উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের বিদ্যালয়টির প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।

এ ব্যাপারে ধামইরহাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, এই সব সমস্যার কারনে ইতি মধ্যেই ৩৫ টি বিদ্যালয়ের তালিকা নিয়েছি। যাচাই বাছাই করে আমরা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট পাঠিয়েছি।

এবিএন/আব্দুল্লাহ হেল বাকী/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ