আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় স্ত্রী হত্যা দায়ে স্বামী গ্রেফতার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ২২:১৩

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় শুভদ্রা (৩২) নামে এক স্ত্রী হত্যার ঘটনার প্রায় ৮ মাস পর স্বামীকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।  মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত শুভদ্রার স্বামী কফিল তালুকদারকে (৩৮) গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার সুখাইড়-রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ কফিলকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত কফিল তালুকদার ওই গ্রামের মৃত নিখিল তালুকদারের ছেলে।

গত বছরের ২৭ আগষ্ট সকালে স্ত্রী শুভদ্রাকে প্রথমে চেতনাশক ওষুধ খাইয়ে পরে থাকে গলা টিপে হত্যা করার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্বামী কফিল তার স্ত্রী শুভদ্রাকে অসুস্থ্য দেখিয়ে তাকে নিয়ে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভদ্রাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং চিকিৎসকদের কাছে শুভদ্রার মৃত্যুর ঘটনাটি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় তাঁরা শুভদ্রার লাশ ওই হাসপাতালেই ময়না তদন্ত করিয়ে পরে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
পরে দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর গত ২০ এপ্রিল সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুভদ্রার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ধর্মপাশা থানায় প্রেরণ করেন। । ওই ময়না তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, শুভদ্রাকে ভাতের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়ানো পর তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে ।

পুলিশ এ রিপোর্ট পাওয়ার পর বুধবার রাত ১২টার দিকে পুলিশ বাদি হয়ে শুভদ্রার স্বামী অফিলকে আসামী করে ধর্মপাশা থানায় একটি হত্যা মামলা দাযের করে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আফিলকে গ্রেপ্তার করে ওই দিন বিকেলেই তাকে আদালতের নির্দেশে জেল- হাজতে প্রেরণ করে।

এব্যাপারে ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত শুভদ্রার স্বামী কফিল তালুকদার তার স্ত্রীকে সু-কৌশলেই হত্যা করে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে এ হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে তার ধারণা ছিলনা। ওসি আরো বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ কফিলকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতের নির্দেশে তাকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এবিএন/মো. ইমাম হোসেন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ