আজকের শিরোনাম :

পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র উত্তোলনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ২২:১১

ধর্মপাশা সরকারি কলেজের ডিগ্রি (পাস কোর্স) প্রথম পর্বের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র উত্তোলনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। প্রবেশপত্র নিতে আসা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে পঞ্চাশ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। ফরম পূরণের সময় পরীক্ষার্থীরা কলেজের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করলেও টাকা না দিলে প্রবেশপত্র বিতরণ করছেন না প্রবেশপত্র বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা।

এছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষের নির্দেশে ৯ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রও আটকে রেখেছেন ওই শিক্ষকেরা। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দাবি কলেজের মসজিদের টয়লেট নির্মাণের জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা রাখা হচ্ছে এবং ফরম পূরণের সময় ওই ৯ জন পরীক্ষার্থী টাকা না দেওয়ায় প্রবেশপত্র দেওয়া হচ্ছে না।

 আজ ২৫এপ্রিল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি প্রথম পর্বের পরীক্ষা শুরু হবে। ধর্মপাশা সরকারি কলেজ থেকে ২শ ৭৭ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন। গত রোববার থেকে কলেজে প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রবেশপত্র নিতে আসা পরীক্ষার্থীরা কলেজে এসে বিপাকে পড়ছেন। তাদের কাছ থেকে পঞ্চাশ টাকা করে রাখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুর বারোটায় কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জিয়াউল হক নিউটন (লিটন) ও ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক ফয়সাল হাসান অফিস কক্ষে টাকার বিনিময়ে প্রবেশপত্র বিতরণ করছেন। এ সময় তাসিলমা আক্তার নামের একজন পরীক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, গত রোববার তিনি প্রবেশপত্র নিতে কলেজে আসেন এবং পঞ্চাশ টাকা দিয়ে প্রবেশপ্রত্র সংগ্রহ করেন। কিন্তু প্রবেশপত্র নিয়ে চলে আসার সময় জিয়াউল হক নিউটন (লিটন) তাঁর (পরীক্ষার্থী) কাছ থেকে প্রবেশপত্র রেখে দেন।

শিক্ষক জিয়াউল হক নিউটন (লিটন) ও ফয়সাল হাসান বলেন, ‘কলেজের মসজিদের টয়লেট নির্মাণের জন্য টাকা রাখা হচ্ছে। কেউ টাকা না দিলেও প্রবেশপত্র দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ ২০/৩০ টাকা করেও দিচ্ছে।’

প্রবেশপত্র রেখে দেওয়ার বিষয়ে জিয়াউল হক নিউটন (লিটন) বলেন, ‘৯ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র অধ্যক্ষ নিজে বিতরণ করবেন তাই ওই (তাসলিমা) পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র রেখে দেওয়া হয়েছে।’

ধর্মপাশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল করিম বলেন, ‘মসজিদের নাম করে টাকা রাখার জন্য আমি না করেছিলাম। কিন্তু কেন যে রাখা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। ওই নয়জন পরীক্ষার্থীর নামের তালিকা স্থানীয় নেতারা (নেতা বলতে তিনি কাদের বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি) ফরম পূরণ কমিটির কাছে জমা দিলে সে অনুযায়ী তাদের ফরম পূরণ করা হয়। কিন্তু ফরম পূরণের টাকা পরীক্ষার্থীরা না দিলেও কলেজের ফান্ড থেকে হাওলাত করে ফরম পূরণ করা হয়।’ টাকা না দেওয়া সত্বেও কীভাবে ফরম পূরণ হলো জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘ওই পরীক্ষার্থীরা নেতাদের টাকা দিয়েছিল। কিন্তু নেতারা টাকা জমা দেয়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আবু তালেব বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এবিএন/মো. ইমাম হোসেন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ