আজকের শিরোনাম :

রাণীশংকৈলে আকস্মিক পরিদর্শনে নির্বাহি প্রকৌশলী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:০০

পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও জোনের শিক্ষা নির্বাহি প্রকৌশলী মেনহাজুল হক আকস্মিকভাবে আজ বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় তার অধিনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাাণে গুনগত মান নিশ্চিত করতে এ পরিদর্শনে আসেন।

 এ সময় উপজেলার মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় আবাদতাকিয়া মাদ্রাসা কালমেঘ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন ভবনগুলো  ডিজাইন অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলো নির্মান কাজ করছে কিনা তা নিজে খতিয়ে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের  সাথেও কথা বলেন, এবং কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ থাকলে তাকে তাৎক্ষনিক জানানোর জন্য অনুরোধ জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারি প্রকৌশলী অলক কুমার কুন্ডু সহকারি প্রকৌশলী বেল্লাল হোসেন।

শিক্ষা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় উচ্চ বিদ্যালয় নতুন ৪তলা ভবন ৩০ টি উর্দ্ধমূখি সম্প্রসারণ ভবন ৩০ টি। ৪তলা ভিত ১তলা ভবন ১৮টি উচ্চ বিদ্যালয় সেফিস একাডেমিক ৬টি ও বে-সরকারি মেরামত ও সংস্কার কাজ ৩৪টি চলছে।

এসব প্রতিষ্ঠানে ডিজাইন মোতাবেক শতভাগ কাজ হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ১জন কার্যসহকারি ১জন সহকারি প্রকৌশলী ও ১জন  উপকারি প্রকৌশলী  তদারকি করছেন। এছাড়াও নির্মাণ কাজগুলি গুনগত মান নিশ্চিত করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটি সভাপতিকে ডিজাইন ও সিডিউল প্রদান করা হয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে। এ ক্ষেত্রে নুন্যতম অনিয়মের সুযোগ যেন না থাকে তাই ভবন নির্মাণের ডিজাইন ও সিডিউল স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হচ্ছে। তার সিডিউল অনুযায়ী কাজ বুঝে নিবে এ প্রত্যাশায় আমাদের এ উদ্যোগ।

কাজ শেষে চুড়ান্ত বিল উত্তোলনের ক্ষেত্রে  প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে বিল প্রদান করার বিধান রয়েছে বলে জানা যায় ।
 রানীশংকৈল ঠিকাদার কল্যান সমিতির সভাপতি আবু তাহের বলেন সাংবাদিক ভাই সরকার যে ভাবে দেশের উন্নয়ন করছে সে ভাবে ঠিকাদারী কাজে শতভাগ কাজ প্রকৌশলীরা বুঝে নিচ্ছে স্থানীয় নদী কিংবা পুকুরের বালি দিয়েও কাজ করা যাচ্ছে না। ঢালাইয়ের সময় মোটা বালি প্লাস্টারের সময় চিকন বালি পঞ্চগড় থেকে নিয়ে এসে কাজ করতে হচ্ছে।

 উপ-সহকারি প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান বলেন, ছুটির দিনেও কোন ঠিকাদারের ঢালায়ের কাজ থাকলে সেখানে প্রাক্কলন অনূযায়ী অটিসি সিম-১ সিমেন্ট, রড ৪শ ডাব্লিউ ৪.১শ গ্রেড আনূযায়ী কাজ বুঝে নিতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন শিক্ষা প্রকৗশলী অধিদপ্তরের কাজে ফাঁকি দেওয়ার কোন সুযোগ নেই এবং কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলে মন্তব্য করেন।

ঠাকুরগাও-পঞ্চগড় জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মেনহাজুল হক পরর্দিশন কালে বলেন, দুইটি জেলার কাজ আমাকে একাই দেখতে হচ্ছে তাই সব ভবন একাই দেখতে হিমশিম খাচ্ছি। তবে আমি এ যাবৎ যতগুলো নির্মাণাধীন ভবন দেখেছি এতে আমি আমার কর্মকর্তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এবং কাজের ধারাবাহিকতা যেন এমনি থাকে সে নির্দেশনা আমার লোকজনদের দিয়েছি।


এবিএন/মোবারক আলী/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ