আজকের শিরোনাম :

ছিনতাই ও মারধরের পর

বান্দরবানের লামায় মৃত ভেবে ফেলে দেওয়া ব্যবসায়ীকে জীবিত উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:২২

বান্দরবানের লামায় গজালিয়া ইউনিয়নে মো. কামাল (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে ছিনতাইয়ের পর মারধর করে মৃত ভেবে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের বুঁড়িরঝিরিস্থ আবু মেম্বারের রাবার বাগানের রাস্তার পাশে এই ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়। গুরুতর আহত ব্যবসায়ী মো. কামাল পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের বার আওলিয়া নগর গ্রামের সুলতান আহাম্মদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে বুঁড়িরঝিরি রাস্তা দিয়ে দুই উপজাতি জুমে যাওয়ার সময় তারা রক্তাক্ত অবস্থায় কামালকে পড়ে থাকতে দেখে দৌঁড়ে এসে বুঁড়িরঝিরি দোকানে মো. তোফায়েলকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি জানায়। তোফায়েল ঘটনাটি ওয়ার্ড মেম্বার মো. আবু তৈয়ব ও গ্রাম পুলিশ রুহুল আমিনতে অবহিত করে। তারা পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

গজালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং আহত ব্যবসায়ীকে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ও তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। সে এখনো অজ্ঞান থাকায় কোন বিষয় জানা যায়নি। জ্ঞান ফিরে এলে তার বক্তব্য শুনে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি ছিনতাই বলে ধারনা করা হচ্ছে।

গ্রাম পুলিশ রুহুল আমিন বলেন, মো. কামাল প্রায় ২০ বছর যাবৎ এই এলাকায় ধান, তামাক, মরিচ, বাদাম, হলুদ সহ নানা ধরনের জিনিসপত্র কেনাবেচার ব্যবসা করে। ধারনা করা হচ্ছে গতরাতের কোন এক সময় যাওয়ার পথে সে ছিনতাই এর শিকার হয়। ছিনতাইকারীরা তাকে গাছের লাঠি দিয়ে প্রচন্ড মারধর করেছে। তারা সারা শরীর ও মাথায় অসংখ্য জখমের চিহ্ন রয়েছে। তারা তাকে মৃত ভেবেই ফেলে গেছে। সকালে খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার করে তাকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করি। প্রচুর রক্তখনন হওয়ায় কামাল শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

ওয়ার্ড মেম্বার মো. আবু তৈয়ব বলেন, মানুষকে মানুষকে এমনভাবে মারতে পারে ! লোকটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। কারো সাথে তার কোন ঝগড়া-বিবাদ ছিলনা। অজ্ঞান থাকায় কত টাকা বা মালামাল ছিনতাই হয়েছে তা জানা যায়নি।

লামা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার সহকারী মেডিকেল অফিসার বিবি ফাতেমা বলেন, মাথায় অসংখ্য সেলাই করতে হয়েছে। তার সারা শরীরে অনেক আঘাত আছে। আমরা ভর্তি করে রেখেছি। প্রয়োজনে আহত ব্যক্তি কে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হবে।


এবিএন/আব্দুর রহিম/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ