আজকের শিরোনাম :

কাপাসিয়ায় বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার প্রদান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:২৩

গাজীপুরের কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ সীমান্তবর্তী চর বাঘুন গণপাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে আজ (২২ এপ্রিল) সোমবার দুপুরে বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার প্রদান করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মো. আইয়ুবুর রহমান খান।  

পাঠাগার সংলগ্ন ঈদগাহ্ মাঠে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে এবং সেলিম মোল্লার পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল আলম মোল্লা,

পূবালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত এস পি ও মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন সরকার রতন, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও তারাগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোঃ শামসুল হুদা লিটন, জার্মানী প্রবাসী মোমেন ভূঁইয়া, সাওরাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার শামীম আহমেদ, ইকরা মডেল কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মামুন আহমেদ, ফুলবাড়িয়া ক্রিয়েটিভ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী মোঃ সিফাতুল্লাহ্ সিফাত প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, তারাগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বজলুর রশীদ প্রমূখ।

চর বাঘুন গণপাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ সংঘ বিগত ১৯৯৩ সাল থেকে কাপাসিয়ার দূর্গাপুর, চাঁদপুর এবং কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ও জামালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির ব্যবস্থা করে থাকেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় চর বাঘুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ শত ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। এতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ১২ জন টেলেন্টপুল ও ৩৯ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়। জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় টেলেন্টপুল ৭ জন ও সাধারণ গ্রেডে ২১ জন বৃত্তি পায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃত্তিপ্রাপ্তদের নগদ অর্থ, সনদ, শিক্ষা উপকরণ বই প্রদান করেন।   

প্রধান অতিথি সাবেক সচিব আইয়ুবুর রহমান খান বলেন, আমার জীবনের প্রথম পেশা ছিল শিক্ষকতা। তাই শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকান্ডে নিজেকে আত্ননিয়োগ করতে চাই। অন্তর থেকে তাগিদ অনুভব করি। পাঠাগারের বই পড়ে একটি লোকও যদি জ্ঞানী হয় তাহলে সে জ্ঞান ছড়াবে। বিউটি পার্লার বাহ্যিক শ্রীবৃদ্ধি করে। আর পাঠাগার অন্তরের জ্ঞান বৃদ্ধি করে। যে সমাজ জ্ঞানীর কদর করে না, সে সমাজে জ্ঞানী জন্ম গ্রহন করে না। আজকে এ ধরনের অনুষ্ঠানে জ্ঞানীরা মর্যাদা পায় না। এটা সমাজের জন্য অশনি সংকেত। জ্ঞানী-গুনীদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক মাসেলম্যানেরা সমাজের দিকনির্দেশনা দেয়।

ডাকসুর নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে শিক্ষার্থী হিসাবে কষ্ট পাই। যার যার পেশার বাইরে সমাজকে নিয়ে ভাবতে হবে, তা হলে সমাজ আপনাকে সম্মান করবে। পৃথিবীর সেরা ধনী বিল গেটস্ যেমন আয় করেন তেমনি তিনি মানব কল্যাণে ব্যয় করেন। সম্পদশালীদের কেউ মনে রাখে না। সমাজকে যারা দিয়ে গেছেন, তাদেরই সবাই মনে রাখেন। মৃত্যু আমাদের অনন্তের দিকে নিয়ে যায়। মহা মানবের জীবন অমরত্বের দিকে নিয়ে যায়। তারা হাজার বছর মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবে।

বর্তমানে টেলিভিশনের ধারাবাহিক সিরিয়াল এবং ফেইজ বুকের কথা উল্লেখ করে বলেন, অপকালচার আমাদের গ্রাস করে ফেলেছে। ইন্টারনেট, ফেইজ বুক থেকে শিক্ষনীয় ভালো জিনিস গুলো রেখে, খারাপ জিনিস গুলো পরিহার করতে হবে। দেশ প্রেম নেতাদের থেকে শুরু করতে হবে। দেশ প্রেমিক হলে হাজারো আরাধ্য সাধন করা যায়। বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আরো বেশী মনোযোগী হয়ে সেরা সাফল্য অর্জন করে দেশ জাতীর কল্যাণে আত্ননিয়োগের আহবান জানান। অনুষ্ঠান শেষে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।
 

এবিএন/নুরুল আমীন সিকদার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ