আজকের শিরোনাম :

বিরলে হিন্দু ও মুসলিমদের জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:১৪

দিনাজপুরের বিরলে মঙ্গলপুর ইউনিয়নের উত্তর মাধবপুর মৌজার দৈই-সই দীঘির হিন্দু ধর্মালম্বিদের শ্বসান ও মুসুলমাদের কবরস্থান (১৪ একর ৯৬ শতাংশ) ভুমি দস্যুদের কবল থেকে দখল মুক্ত করার জন্য মানব বন্ধন করেছে এলাকার ৫ মৌজার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ।

আজ সোমবার সকাল ১০ টায় বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের উত্তর মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন অত্র এলাকার ৫ মৌজার কয়েক হাজার হিন্দু-মুসলিম নারী-পুরুষ।

এসময় তারা ঐ এলাকার সন্ত্রাসী, ভুমি দস্যু প্রভাবশালী লাঠিয়াল বাহিনী’র সদস্য সইদুল ইসলাম টুকু, বুলু, কামীল, হবিবর রহমান, বশীর ও  আনারুল ইসলাম এর তড়িৎ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি ও বিচার দাবিতে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় এমপি ও মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রি খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

আন্দোলন কারীরা জানান, মাধবপুর গ্রামের ৫ মৌজার প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। দ্বীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে দৈই-সই দিঘীর পাড় এলাকায় একদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্বষান ও অন্যদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের কবর স্থান ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এই শ্বসান ও কবর স্থানে আমাদের বাপ-দাদাদের দাহ ও দাফন কাজ সম্পুর্ণ করা হয়। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যা যে বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর পুর্বে ঐ সকল সন্ত্রাসীরা ভুয়া ও জাল জালিয়াতী ভাবে কাগজ করে উভয় সম্প্রদায়ের অসহায় লোক জনদেরকে দাহ ও দাফন কাজে বাঁধা দিয়ে আস ছিলেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেরাজুল ইসলাম ও এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের সচেতন লোকজন উক্ত সম্পত্তির সঠিক কাগজ পত্রাদী সংগ্রহ করে দেখেন তাদের বৈধ কোন কাগজ পত্র নাই। তারা আসলে জোড় জবস্থি ও সন্ত্রাসী কায়দায় উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলেন। দ্বীর্ঘ দিন পর হলেও তাদের মুখোস উন্মোচন হওয়ায় এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন ফুসে উঠেছে এবং তাদের নৈজ্য অধিকার আদায়ে তারা মরিয়া।

স্থানীয় চেয়ারম্যান সেরাজুল ইসলাম জানান, এলাকার লোক জন বিষয়টি নিয়ে পরিষধে অভিযোগ দিলে আমি উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজ পত্রাদী দেখে জানতে পারি তারা অবৈধ। প্রকৃত পক্ষে ঐ সম্পত্তি অত্র এলাকা হিন্দু ও মুসুলমানদের শ্বসান ও কবর স্থান। এব্যাপারে এলাকাবাসী বিরল থানায় বিচার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।


এবিএন/সুবল রায়/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ