আজকের শিরোনাম :

ক্ষেতলালে বিনাই মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন ও বৈশাখী ভাতা উঠাতে পারেননি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৩৩

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বিনাই দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা গত মার্চ মাসের বেতন ও বৈশাখী ভাতা উঠাতে পারেননি, সুপারের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেতন বিলে স্বাক্ষর করছেন না।

জানা গেছে, বিনাই দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার নিয়মিত কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে  শিক্ষা কর্মকর্তার সভাপতিত্বে গোপন ব্যালটে আভিভাবক সদস্য জনৈক ফজলার রহমার প্রামানিক উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচিত হন। চুড়ান্ত কমিটি অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বরাবরে যথারীতি প্রেরণ করেন  কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে বিগত কমিটির মেয়াদ গত ২৭ মার্চ শেষ হয়ে যায়।

 পূর্নাঙ্গ কমিটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন হয়ে  না আসায় নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক/কর্মচারীর গত মার্চ মাসের বেতন ও বৈশাখী ভাতা স্বাক্ষরের জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করলে তিনি সুপারের বিরুদ্ধে মামলা থাকার অজুহাতে বেতন বিলে স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতন ও বৈশাখী ভাতা উঠাতে পারেননি। ওই প্রষ্ঠিানের শিক্ষক কর্মচারিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ।

ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আব্দুস সালাম বলেন, আমি গরিব মানুষ। বেতন বন্ধ হওয়াতে সংসারের খরচসহ  বগুড়াতে অধ্যয়নরত আমার ছেলের পড়াশুনার খরচ দিতে পারছি না। নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক ওই মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক বলেন, মাদ্রাসার কেউ মামলা  করেনি, মামলা করেছে বাহিরের রাজনৈতিক লোকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে, প্রতিষ্ঠান বা কমিটির বিরুদ্ধে নয়। বিধায় শিক্ষক কর্মচারীদের কষ্ট দেওয়ার কোন মানে হয় না।

ওই মামলার বাদী  ওয়ার্ড  আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব সোনার বলেন, সুপার নিয়োগে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে নিয়োগ বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখনও কোন আদেশ হয়নি। আগামী ধার্য্য তারিখে মামলার শুনানী অন্তে আদেশ হতে পারে।

এলাকার সংবাদ কর্মী মিজানুর রহমান বলেন,যতদুর শুনেছি মামলায় নিষেধাজ্ঞা,স্থিতবস্থা,এধরনের কোন আদেশ হয়নি বিধায় জেলা শিক্ষা অফিসারের বেতন ভাতায় স্বাক্ষর না করার যৌক্তিক কারন দেখছি না।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার রেজাউল ইসলাম বলেন, বেতনবিলে স্বাক্ষর করা না করা  জেলা শিক্ষা অফিসারের এখতিয়ারাধীন । এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। বোর্ডে প্রেরিত কমিটির কাগজপত্রে কিছু ত্রুটি থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড  কারন দর্শানোর নোটিশ করেন। ফলে কমিটি অনুমোদনে বিলম্ব হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লাহ সরকার বলেন, ভুল বশত: তারিখ একদিন আগে পিছে হওয়ার কারনে আমাকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কারন দর্শাতে বলেছে দু’একদিনের মধ্যে জবাবসহ প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিব।

জেলা শিক্ষা অফিসার ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন,শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতার বিষয়টি অবশ্যই মানবিক দৃষ্টিকোনে দেখছি তবে সুপারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেহেত বিষয়টির আইনগত দিক পর্যালোচনা করে বেতন বিলে স্বাক্ষর করবো।


এবিএন/মিজানুর রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ