গলাচিপায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ!
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:১২
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার এবং রাষ্ট্রীয় নাগরিক অধিকারের লক্ষে জনস্বাস্থ্যের উপর গুরুত্ব দিয়ে দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালগুলোর উপর বিভিন্ন আইন প্রনয়নের পদক্ষেপ নিলেও পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়মের প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবা।
সরজমি গিয়ে দেখা যায়, শিশু কিশোর বৃদ্ধা বয়সের রোগীরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার বাবুর সাক্ষাত পাচ্ছেন না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাক্তার থাকলেও আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নিজের মন গড়া আইন তৈরী করে প্রাইভেট ক্লিনিকে ব্যস্তবাগীশ ডাক্তার বাবুরা।
জরুরী বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্তব্যরত ডাক্তার সরকারি ডিউটি না করে রোগী ফেলে তিনি ক্লিনিক বাণিজ্যে প্রেসক্রিপশনে নানান টেস্ট দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আয়ে ব্যস্ত। জরুরী বিভাগ থেকে তাকে বার বার কল করলেও কোন সারা মেলেনি।
বেশ কিছু রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, জরুরী বিভাগে এসে কোন ডাক্তার পাইনি। অনেক চেষ্টা করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি হাসপাতাল থেকে বাহিরে ক্লিনিকে নিয়ে যেতে বলেন। অসুস্থ রোগী নিয়ে টানা হেচরা করতে করতে আরো বেশী রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, জরুরী বিভাগে ডাক্তার না থাকলেও কোন সমস্যা নেই! আছেন অনভিজ্ঞ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। কাটাকাটি সেলাই যাই লাগুক তারাই সব করে দিচ্ছেন।
একই হাসপাতালের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গলাচিপা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা ডিউটি অবস্থায় ক্লিনিকে থাকেন। আমরা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী যতটুকু সম্ভব তাই করি। জরুরী বিভাগ থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুুরে রোগীরদের আহজারী আর হয়রানী দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার বাবুকে কয়েকবার কল করলেও প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রেসক্রিপশন বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় কলটি রিসিভ করেননি। নানান অনিয়ম ও দূর্ভোগের বিষয়ে উপজেলা সাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুউজ্জামান বলেন, সব সময়ে তো জরুরী বিভাগে ডাক্তার থাকার কথা। আর ডাক্তারদেরও কিছু অনিয়ম আছে, তা অস্বীকার করবো না। তবে এটাও ঠিক যে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংখ্যা একে বারেই কম। ডাক্তারেদের অনিয়মের ব্যাপারে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব বলে এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে তিনি জানান। এবিএন/জুয়েল/জসিম/রাজ্জাক
একই হাসপাতালের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গলাচিপা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা ডিউটি অবস্থায় ক্লিনিকে থাকেন। আমরা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী যতটুকু সম্ভব তাই করি। জরুরী বিভাগ থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুুরে রোগীরদের আহজারী আর হয়রানী দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার বাবুকে কয়েকবার কল করলেও প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রেসক্রিপশন বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় কলটি রিসিভ করেননি। নানান অনিয়ম ও দূর্ভোগের বিষয়ে উপজেলা সাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুউজ্জামান বলেন, সব সময়ে তো জরুরী বিভাগে ডাক্তার থাকার কথা। আর ডাক্তারদেরও কিছু অনিয়ম আছে, তা অস্বীকার করবো না। তবে এটাও ঠিক যে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংখ্যা একে বারেই কম। ডাক্তারেদের অনিয়মের ব্যাপারে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব বলে এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে তিনি জানান। এবিএন/জুয়েল/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ