গোপালপুরে এবার পাকিস্তানী কিশোরী ধর্ষনের শিকার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:২৪
ভিসা নিয়ে মায়ের সাথে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে ধর্ষনের শিকার হয়েছেন এক পাকিস্তানী কিশোরী। ধর্ষিতার নাম হুমেরা বাবু (১৭)। করাচীর সরকারি এক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পিতার নাম হুমায়ুন কবীর, মাতার নাম নীলুফার বেগম। ঠিকানা সুপার হাইওয়েজ রোড়, নিউ করাচী, পাকিস্তান।
গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, গোপালপুর পৌরশহরের উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক ২৫ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে থিতু হন। সেখানে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগমকে সাদী করে গামের্ন্টস ব্যবসা শুরু করেন। পাঁচ মাস আগে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগম ছয় মাসের ভিসায় কন্যা হুমেরাকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন।
উঠেন উত্তর গোপালপুর গ্রামের ভাসুর আবদুল ওয়াদুদের বাড়িতে। সেখানে উঠার পর থেকেই আরেক ভাসুর আবুল হোসেনের পুত্র বখাটে আল আমিন কিশোরী হুমেরাকে উত্যক্ত করতে থাকে। বেশ কবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পারিবারীকভাবে বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টা হয়। এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাবার খবর শুনে বখাটে আল আমীন ক্ষুব্দ হয়।
গত ১৬ এপ্রিল রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় হুমেরাকে কাকার বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এমতাবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল আল আমীনসহ তিনজনকে আসামী করে নীলুফার বেগম গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
গোপালপুর থানা পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ১৮এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ধর্ষিতা হুমেরাকে উদ্ধার করেন।
ধর্ষিতার মাতা নীলুফার বেগম জানান, হুমেরা নিউ করাচীর সরকারি সাদিকাটুল হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তিনি ও তার মেয়ে বাংলা ঠিক মতো বলতে পারেননা। বাবার দেশ সখ করে দেখতে এসে নিজের পরিজনের হাতেই সর্বনাশের শিকার হলো তার কিশোরী কন্যা। নির্যাতনে হুমায়রা মুষড়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি এর কঠিন শাস্তি দাবি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্মা গোপালপুর থানার এসআই আসলাম হোসেন জানান, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ধর্ষিতা বাংলা বলতে না পারায় এবং দোভাষী না পাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার আদালতে ধর্ষিতার ২২ ধারায় জবানবন্দী নেয়া যায়নি। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এবিএন/এ কিউ রাসেল/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ