হত্যাকারীদের নিরাপত্তায় মাদ্রাসার গেট পাহারা দেয় হাফেজ কাদের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০০:৩৫
নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় হাফেজ আবদুর কাদের নামে আরো একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি প্রধান আসামী সিরাজ উদদৌলার অন্যতম সহযোগী বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল এসপি মোঃ ইকবাল গণমমাধ্যমকে স্বীকারোক্তির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাফেজ আবদুল কাদের আদালতের কাছে স্বীকার করেছে সে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। ঘটনার দিন সে হত্যাকারীদের নিরাপত্তায় মাদ্রাসার গেট পাহারায় ছিলো। তাছাড়া সে পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম। কাদের হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।
হত্যা মামলা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। সিরাজ উদদৌলার ‘ঘনিষ্ঠ’ নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম, শরীফ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।
বাকি আসামিদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজ উদদৌলাকে ৭ দিন, আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমকে ৫ দিন, জাবেদ হোসেনকে ৭ দিন, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, আবছার উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, শামীম ও যোবায়ের হোসেনকে ৫ দিন করে রিমান্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে সহপাঠী মো. শামীম ও জান্নাতুল আফরোজ মনিকে।
এদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার পূর্বপশ্চিমকে জানান, তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িত পরোক্ষদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এরই মধ্যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করতে থানায় যাওয়ার পর নুসরাতের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) সোনাগাজী থানার ওই সময়ের ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে। এ মামলাও তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।
এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি
এই বিভাগের আরো সংবাদ