গলাচিপায় ডাইরিয়ার প্রকোপ চরমে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৩৮
পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রাকৃতিক বৈরী মিশ্র আবহাওয়ার কারনে ব্যাপক হারে ডায়রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সরেজমিনে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সের মানুষই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখাই বেশী।
প্রাকৃতিক বৈরী আবাহাওয়ায় এই গরম ও বৃষ্টি হলে এই ঠান্ডা এই মিশ্র পরিবেশগত কারনে ডাইরিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বেড ছাড়া ফ্লোরে জায়গা দেওয়ার সংকুলান হচ্ছেনা।
এদিকে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে প্রতিবেদককে জানান। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড ছাড়া শতাধিক ফ্লোরে ভর্তিরত অবস্থায় অবস্থান করছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিরত ডায়রিয়া আক্রান্ত লিমা (৫) এর মা রাবেয়া আক্তার জানান, হঠাৎ করে আমার মেয়ের পাতলা পায়খানা ও বমি হওয়ায় তাৎক্ষনিক ভাবে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার জন্য এলে হাসপাতালের বেড খালি না থাকায় সে জন্য ফ্লোরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ভর্তি করেন। এ অবস্থায় মেয়ের স্যালাইন ও ঔষধ । আগের চেয়ে পায়খানা ও বমি কমেছে। হাসপাতালের ডাক্তার সংখা হল মোট ৬ জন কিন্তু দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ২ জন ও নার্সের সংখা হল মোট ২৮ জন।
হাসপাতালে কর্তব্যরত ডা. মো. আসাদুজ্জামান রাজিব জানান, অন্যান্য রোগীদের চেয়ে ডায়রিয়া জনিত রোগীর সংখা অনেক বেশী হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (টিএইচও) ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এ সময় ভ্যাপসা গরম আবহাওয়া জনিত কারনে ডাইরিয়ার প্রকোপ একটু বেশী থাকে।
এ ছাড়া তরমুজ খাওয়ার কারনেও ডাইরিয়া হয়ে থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হওয়ায় বেশী সমস্যা হচ্ছে। এ জন্য ফ্লোরে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখাই বেশী। তবে বাথরুমে গেলে হাত ভাল করে সাবান বা হ্যান্ড ওয়াস দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করতে হবে।
এ ছাড়া কোন কিছু খাবার পূর্বে হাত সাবান বা হ্যান্ড ওয়াস দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগীর এত চাপ এ জন্য খাওয়ার স্যালাইন ও রগে পুস করা স্যালাইন কয়েকবার এনেছি হয়ত এ রকম রোগীর চাপ থাকলে আরও বেশী করে প্রয়োজন হবে। ডায়রিয়ার জন্য হতাশ হওয়ার কোন কারন নেই কারন ঠিকমত চিকিৎসা সেবা দিতে পারলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে রোগী পুরোপুরি সুস্থ্য হওয়া সম্ভব। আমরা অতিরিক্ত অসুস্থ্য রোগী হয়ত বিশেষ প্রয়োজনে উচ্চ চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী বা বরিশাল প্রেরন করে থাকি।
এবিএন/মু. জিল্লুর রহমন জুয়েল/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ