আজকের শিরোনাম :

মদনে ইসতেমায় দাওয়াতকে কেন্দ্র করে সাদ-জোবায়ের গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ১০

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:০৯

নেত্রকোনার মদনপুর অনুষ্ঠিত মাওলানা সাদ গ্রুপের আয়োজনে তিন দিনের ইজতেমায় যোগ দেওয়ার দাওয়াতকে কেন্দ্র করে সাদ-জোবায়ের গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত উভয় পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার সকালে মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রামগোপালপুর বড় বাড়ির ভরাট পুকুরে এ  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে মাওলানা সাদ গ্রুপের হাসনপুর গ্রামের হাফেজ ওহিদুজ্জামান, কুলিয়াটি গ্রামের মোঃ দেলায়ার হোসেন, ও আব্দুল কদ্দুছকে মদন হাসপাতালে এবং জোবায়ের গ্রুপের দেওসহিলা গ্রামের মুফতি ওমর ফারুক, রামগোপলপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুফতি সোলেমান, হাফেজ, খাইরুল ইসলাম, মৌলানা এনামূল হক, মোঃ শহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান, আব্দুল ওয়াদুদকে পাশের উপজেলা তাড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, নেত্রকোনার সদর উপজেলার মদনপুর শাহ সুলতান কমর উদ্দীন রুমি (রহঃ) মাজারের পাশের মাঠে মাওলানা সাদ গ্রুপের তিন দিনের ইজতেমায় যোগ দেয়ার জন্য হাফেজ ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ উপজেলার বিভিন্ন  এলাকায় দাওয়াতের কাজ চলছিল। জোবায়ের গ্রুপের লোকেরা এতে বাধা দেয়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল।

আজ বুধবার সকালে সাদ গ্রুপের ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে ১৬ জন মোটরসাইকেল যোগে দাওয়াতের উদ্দ্যেশে ফতেপুর রামগোপালপুর বড় বাড়ির মিশন চৌধুরীর বাড়িতে যায়। চৌধুরী বাড়ি থেকে ফেরার পথে বাড়ির সামনে ভরাট পুকুরে পৌঁছা মাত্রই জোবায়ের গ্রুপের মুফতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

সাদ গ্রুপের আহত হাফেজ মৌলানা ওহিদুজ্জামান জানান,দাওয়াতে বাধার কারণে আমি এ এলাকায় আসতে রাজি ছিলাম না। সকালে কয়েকজন সাথী মোটরসাইকেল যোগে এসে আমাকে নিয়ে মিশন চৌধুরীর বাড়িতে যায়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই মুফতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের একটি মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে। ষড়যন্ত্র মূলক ভাবেই আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি আইনের আশ্রয় নিব।

অপর দিকে জোবায়ের গ্রুপের মুফতি ওমর ফারুক জানান, গত সোমবার ফতেপুর হাটশিরা বাজার মসজিদে হাফেজ ওহিদুজ্জামাকে এলাকার পরিস্থিতি উত্ত্যক্ত দাওয়াতের কাজ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি তা অমান্য করে বুধবার সকালে মিশন চৌধুরীর বাড়িতে দাওয়াত নিয়ে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানান।

এ ব্যাপারে ওসি মো. রমিজুল হক জানান, সাদ-জোবায়ের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

এবিএন/তোফাজ্জল হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ