আজকের শিরোনাম :

নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু খালের সেতুর নিচে লোহার নেট স্থাপন করছে মিয়ানমার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:২৩

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তে কাঁটাতার ঘেঁসে তুমব্রু সেতুর নিচে লোহার রড ও নেট দিয়ে ঘিরে ফেলছে মিয়ানমার। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে তমব্রু সীমান্তের ব্রিজের নিচে এই নেট স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়।

 ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দিতে চায় মিয়ানমার তাই তারা এই নতুন কৌশলে লোহার রড দিয়ে নেট স্থাপন করছেন। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে সীমান্তে বসবাসকারী রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, তমব্রুতে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সীমান্ত থেকে সরিয়ে দিতে নতুন কৌশলে নেট স্থাপন করছে মিয়ানমার। একারণে তুমব্রু খালের সেতু নির্মাণ এবং সেতুর নিচে লোহার নেট তৈরী করেছে তারা। যার ফলে তুমব্রু খালে পানির স্বাভাবিক চলাচল বিঘœ ঘটবে ও বর্ষায় মৌসুমী সীমান্তে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প সহ স্থানীয়দের কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গিয়ে চাষাবাদ ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মিয়ানমর বিনা উস্কানিতে শুক্রবার থেকে কাঁটা তারের বেড়া ঘেঁসে সেনা, বিজিপির টহল জোরদার করেছে।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তমব্রু খালে ব্রীজ নির্মাণের পর থেকে চরমভাবে আতঙ্কগ্রস্ত ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা। এখন দেখছি ব্রীজের নিচে লোহার রড দিয়ে নেট তৈরী করছে। এর ফলে নতুন করে আতংক আরো বাড়বে।

নাইক্ষ্যংছড়ি ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, ব্রীজের নিচে লোহার রড দিয়ে নেট তৈরীর বিষয়ে মিয়ানমার বলছে, ব্রীজের নিচে দেওয়াল না হলে বিভিন্ন লোকজন সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যেন কেও প্রবেশ করতে না পারে, তাই নেট দিয়ে ঘিরে ফেলছে তারা।

তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি টহল জোরদার করেছে। এতে আমাদের উদ্বগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সীমান্তে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিজিবি সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। সেই থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত সীমান্তে রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।


এবিএন/আব্দুর রহিম/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ