সামান্য বৃষ্টিতে কুমিল্লা সিটির অধিকাংশ রাস্তায় হাটু পানি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:০৪
কুমিল্লায় বর্ষার শুরুতেই জলাবদ্ধতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ড্রেনের পানি রাস্তার উপর উঠে নগরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অল্প বৃষ্টিতে কাঁদা নর্দমা, ভাঙ্গা রাস্তায় পানি জমে কাঁদায় সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। নগরীর প্রতিটি অলিতে গলিতে পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। মনিরুল হক সাক্কু জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজে দাড়িয়ে ড্রেন পরিস্কার করলেও কোন ফলাফল পাচ্ছে না নগরবাসী। যদি পরিকল্পিত নগরায়ন না করা হয় তাহলে আগামীতে ভয়াবহ রূপ নিবে বলে সিটি বাসীর ধারণা।
কুমিল্লা নগরবাসীর জলাবদ্ধতা একটি নিত্যদিনের অভিশাপ হয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুমিল্লার জলাবদ্ধতার প্রধান প্রধান কারণ ভৌগোলিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কুমিল্লা গোমতী নদীর তীরে হওয়া সত্ত্বেও শহরের পানি নিষ্কাশনে ভূমিকা রাখছে না। কারন এটি উত্তর পাশে হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নগরীর পশ্চিমে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট ও লালমাই পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় যে দিকে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পূর্বদিকে উচুঁ ভূমির জন্য পানি প্রবাহিত হওয়ায় সুযোগ নেই। দক্ষিণে এয়ারপোর্ট রোডের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করা গেলেও বর্তমানে ইপিজেড হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন করা যাচ্ছে না। এতে নগরীর পানি নিষ্কাশনের জটিলতা বুঝা যায়।
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে পুকুর ভরাট ও নিচু পতিত জমি নগরায়নের ফলে এক কালের ব্যাংক ও ট্যাংকের নগরী কুমিল্লা থেকে ট্যাংক বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ও শহরের বিভিন্ন পতিত জমি ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণের ফলে বৃষ্টির পানি জমা হয়ে ড্রেন উপচিয়ে রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। নগরীর ক্রস কালভার্টের বিভিন্ন সার্ভিস সংস্থা, যেমন- পানি, গ্যাস, টেলিফোন এর একাধিক পাইপ থাকার কারণে বৃষ্টির সময় এই সকল পাইপে পলিথিন আটকিয়ে পানি নিষ্কাশনের বাধা প্রদান করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। অবৈধ জবর দখল ও খালের উপর অপ্রশস্ত কালভার্টের কারণে পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।
জনসাধারণের সচেতনতার অভাবের ফলে নগরীর জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়ও খালি জায়গায় ঘর বাড়ি তৈরির দরুন পৌরসভার কর্তৃক নির্মিত অধিকাংশ ডাস্টবিন স্থানীয় জনসাধারণ কর্তৃক ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে জনগণ ময়লা-আবর্জনা বিরাট অংশ পলিথিন ড্রেনে ফেলছে যা পানি চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে। আবর্জনা অপসারণে ট্রাকের অপ্রতুলতার দরুন কুমিল্লা নগর এলাকায় প্রায় ১১০ কিঃ মিঃ ট্রেইন ১১৫ কিঃ মিঃ রাস্তা লক্ষাধিক লোকের সৃষ্ট সালড ওয়াস্ট ও ড্রেন হতে উত্তোলিত মাটি এবং রাস্তার আবর্জনা অপসারণের জন্য অনেক দিনের পুরানো ১২টি ট্রাক দিয়ে অপসারণ করা সম্বব হচ্ছে না। ফলে ড্রনে পড়ে এই আবর্জনাগুলো পানি নিষ্কাশনের বাধা সৃষ্টি করে। মাঝারী নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মান। আউট লেটের ডাউন স্টিম এর সংযোগ খালগুলো খনন না থাকার কারণে বড় ধরনের বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশিত হতে না পেরে অনেক দিন পর্যন্ত নগর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ড্রেনের মাটি উত্তোলন ও অপসারণের সিটি করপোরেশনের সীমাবদ্ধতার কারণে ড্রেনের উত্তোলিত মাটি সঠিক সময়ে অপসারণ না করার ফলে পুনরায় ড্রেনে পড়ে এবং ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরিবেশ দুষণ করে। কোন কোন জায়গায় ড্রেনের দুই পাশের দেওয়ালে বড় বগ ইমারত গড়ে উঠায় ড্রেন পরিষ্কার করার সুযোগ থাকে না। কোন ক্ষেত্রে এ জাতীয় ড্রেনের দৈর্ঘ্য ৫০০-১০০০ ফুট পর্যন্ত রয়েছে। ড্রেনের মাটি নরম থাকায় বালতি দিয়ে উঠানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া এ মাটি অপসারণের জন্য সিটি কর্তৃপক্ষের উন্নতমানের কোন যন্ত্রপাতি নেই। উপরোক্ত উল্লেখিত বিষয়ের সমস্যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে ৪টি জোনে বিভক্ত এবং ৪টি আউটলেট খালের মধ্যে জোন-১ রেইসকোর্স খালের এলাকা রেইসকোস, বাগিচাগাঁও, ঝাউতলা, বাদুরতলা, বিষ্ণপুর, ছোটরা, কালিয়াজুরীসহ নগরীর উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের পানি ছোট বড় বিভিন্ন ড্রেনের মাধ্যমে রেইসকোস খালে পতিত হয়। কিন্তু ঐ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং মাঝারী শহর উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর ড্রেনের অপ্রস্থড্রেন নির্মাণের ফলে এ সকল এলাকায় জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এবিএন/শাকিল মোল্লা/জসিম/তোহা
জনসাধারণের সচেতনতার অভাবের ফলে নগরীর জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়ও খালি জায়গায় ঘর বাড়ি তৈরির দরুন পৌরসভার কর্তৃক নির্মিত অধিকাংশ ডাস্টবিন স্থানীয় জনসাধারণ কর্তৃক ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে জনগণ ময়লা-আবর্জনা বিরাট অংশ পলিথিন ড্রেনে ফেলছে যা পানি চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে। আবর্জনা অপসারণে ট্রাকের অপ্রতুলতার দরুন কুমিল্লা নগর এলাকায় প্রায় ১১০ কিঃ মিঃ ট্রেইন ১১৫ কিঃ মিঃ রাস্তা লক্ষাধিক লোকের সৃষ্ট সালড ওয়াস্ট ও ড্রেন হতে উত্তোলিত মাটি এবং রাস্তার আবর্জনা অপসারণের জন্য অনেক দিনের পুরানো ১২টি ট্রাক দিয়ে অপসারণ করা সম্বব হচ্ছে না। ফলে ড্রনে পড়ে এই আবর্জনাগুলো পানি নিষ্কাশনের বাধা সৃষ্টি করে। মাঝারী নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মান। আউট লেটের ডাউন স্টিম এর সংযোগ খালগুলো খনন না থাকার কারণে বড় ধরনের বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশিত হতে না পেরে অনেক দিন পর্যন্ত নগর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ড্রেনের মাটি উত্তোলন ও অপসারণের সিটি করপোরেশনের সীমাবদ্ধতার কারণে ড্রেনের উত্তোলিত মাটি সঠিক সময়ে অপসারণ না করার ফলে পুনরায় ড্রেনে পড়ে এবং ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরিবেশ দুষণ করে। কোন কোন জায়গায় ড্রেনের দুই পাশের দেওয়ালে বড় বগ ইমারত গড়ে উঠায় ড্রেন পরিষ্কার করার সুযোগ থাকে না। কোন ক্ষেত্রে এ জাতীয় ড্রেনের দৈর্ঘ্য ৫০০-১০০০ ফুট পর্যন্ত রয়েছে। ড্রেনের মাটি নরম থাকায় বালতি দিয়ে উঠানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া এ মাটি অপসারণের জন্য সিটি কর্তৃপক্ষের উন্নতমানের কোন যন্ত্রপাতি নেই। উপরোক্ত উল্লেখিত বিষয়ের সমস্যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে ৪টি জোনে বিভক্ত এবং ৪টি আউটলেট খালের মধ্যে জোন-১ রেইসকোর্স খালের এলাকা রেইসকোস, বাগিচাগাঁও, ঝাউতলা, বাদুরতলা, বিষ্ণপুর, ছোটরা, কালিয়াজুরীসহ নগরীর উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের পানি ছোট বড় বিভিন্ন ড্রেনের মাধ্যমে রেইসকোস খালে পতিত হয়। কিন্তু ঐ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং মাঝারী শহর উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর ড্রেনের অপ্রস্থড্রেন নির্মাণের ফলে এ সকল এলাকায় জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এবিএন/শাকিল মোল্লা/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ