আজকের শিরোনাম :

ধর্ষণের ফলে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী অন্ত:সত্বা

ভূঞাপুরে চাচা-ভাতিজার ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০১৮, ১৮:৩৩

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল), ০২ জুন, এবিনিউজ : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক আনছের আলী ও ভাতিজা শরিফুলের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় সিংগুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন আধ ঘন্টা তারাকান্দী-ভূঞাপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে।

এসময় বক্তব্য রাখেন নারান্দিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা.মজিবর রহমান, সিংগুরিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাবুল মন্ডল, কালিহাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম। আনেহলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তালুকদার মোহাম্মদ সবুজ, মিজানুর রহমান প্রমুখ। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে শরিফুলকে আটক করে কালিহাতী থানা পুলিশ। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তবে ঢাকায় অবস্থান করায় ঘটনার মূলহোতা আনছের আলীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

উল্লেখ্যকালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ভূঞাপুরের নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা  আনছের আলীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ওই ছাত্রী পড়াশোনার ফাঁকে আনছের আলীর বাড়িতে কাজ করে দিতো। বিনিময়ে দু'বেলা দু'মুঠো খাবার খেতো। আনছের আলীর স্ত্রী বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করায় ওই বাড়িতে একাই থাকতো সে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর উপর কুনজর পরে ৬০ বছরের আনছের আলীর।

একদিন মেয়েটিকে একা পেয়ে আনছের আলী ধর্ষণ করার সময় তারই বড় ভাই মুনসবের ছেলে শরিফুল ঘটনাটি দেখে ফেলে। পরে শরিফুল ঘটনাটি লোকজনের কাছে বলে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। কাউকে কিছু বললে হত্যার ভয় দেখিয়ে মাঝে মধ্যেই চাচা আনছের আলী ও ভাতিজা শরিফুল মেয়েটিকে ধর্ষণ করতো। ফলে নিজের অজান্তেই কিশোরী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। কিছুদিন আগে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। জিজ্ঞসাবাদে সে সব কিছু খুলে বলে।

পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় অন্তঃসত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে।  বিষয়টি আনছের আলী জানার পর মেয়ের পরিবারকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে মেয়ের পিতা মেয়েকে নিয়ে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে সে কয়েক দফা তাদের মারধর করে। আনছের আলী প্রভাবশালী হওয়ায় নীরবে সহ্য করে চলে আসে মেয়ে ও তার বাবা। এরই মধ্যে গর্ভপাত করানোর জন্য মেয়ের পরিবারকে চাপ দেয় আনছের আলী। এরই ধারাবাহিকতায় মেয়েটিকে টাঙ্গাইল মুন নার্সিং হোমে গর্ভপাত করানোর জন্য ভর্তি করা হয়। 

কিন্তু ৭ মাসের অন্তঃসত্তা হওয়ায় গাইনী ডাক্তার মালেকা শফি মঞ্জু তা করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে আনছের আলীর বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতে ওই ছাত্রী আনছের আলী ও শরিফুলের নাম উল্লেখ করে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে শরিফুলকে আটক করে পুলিশ।

এবিএন/কামাল হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ