আজকের শিরোনাম :

অবশেষে ওসির প্রচেষ্টায় শেরপুরের সেই প্রেমিকার বিয়ে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:১৭

অবশেষে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় শেরপুরের পারভবানীপুর গ্রামে বিয়ের দাবিতে গ্যাস ট্যাবলেট হাতে নিয়ে অবস্থানকারী সেই প্রেমিকার বিয়ে সম্পন্ন হলো। প্রেমিকা রোজিনা বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে ১০ দিন অবস্থানের পর এই বিয়ের সম্পন্ন হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার খামারকান্দী ইউনিয়নের পারভবানীপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সরকারি আজিজুল হক কলেজর অনার্সের ছাত্র শাকিল আহমেদ একই গ্রামের পাশের বাড়ির দরিদ্র রফিকুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে গত দেড় বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় দৈহিক সম্পর্ক হয় তাদের। বেশকিছুদিন ধরে শাকিলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে নানা তালবাহানা করতে থাকে।

শাকিলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ওই মেয়েকে বিয়ে করাতে রাজি না হয়ে দুঁপচাচিয়া উপজেলায় তার বিয়ে ঠিক করেন। ওই যুবতী বিয়ের কথা জানতে পেরে গ্যাস ট্যাবলেট হাতে নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক শাকিলের ঘরে ওঠে। প্রেমিকা তার ঘরে ওঠার খবর শুনে শাকিল আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ হয়।

পরে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানতে পেরে ছেলের অভিভাবক দিয়ে ছেলে ও মেয়েকে শেরপুর থানায় নিয়ে আসেন। এসময় তিনি দু-পক্ষের অভিভাবকদের বুঝিয়ে রাজী করানোর পাশাপাশি ছেলে ও মেয়েকে বিয়েতে রাজী করান। এবং গত রবিবার রাতের বেলায় কাজীকে ডেকে এনে বিয়ে পড়িয়ে দেন।

এরই ধারাবাহিতকায় ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকরা গতকাল তাদের গ্রামের বাড়ীতে আনুষ্টানিকভাবে বিয়ে রেজিষ্ট্রি সহ সকল কার্য সম্পাদন করেন। যেহেতু মেয়ের পরিবার অত্যন্ত গরীব আর ছেলের পরিবার প্রভাবশালী তাই এই বিয়ে সম্পন্ন করায় এলাকাবাসী ওসির প্রসংশায় পঞ্চমুখ। তারা বলছেন শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির যদি আন্তরিক না হতেন তাহলে এই অসহায় মেয়েটির কপালে চরম দুর্দিন নেমে আসত।


এবিএন/শহিদুল ইসলাম শাওন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ