আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৪৬

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্র চন্দ্র তালুকদারের (৫০) ওপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিত পালিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারটায় উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ নানান শ্রেণি পেশার দুই শতাধিক জনগণ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস, বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সঞ্চয় রায় চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবির, ঝিনুক শঙ্ক দীপু, বুলবুল আক্তার চৌধুরী, রাশেদ আলম, মুখলেছুর রহমান, আলীনূর, পুরঞ্জন সাহা রায়, নজমুল হায়দার, আনোয়ারুল হক, ওহেদুজ্জামান, সামিউল কিবরিয়া, শাখী রাণী, রজত কান্তি সরকার, জাকির হোসেন, রুহুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সাদাত তিতাস প্রমুখ।

জানা যায়, গত রোববার রাতে মধ্যনগর বাজার থেকে নিজ বাড়ি সম্পদপুর গ্রামে ফেরার পথে শিক্ষক রমেন্দ্র চন্দ্র তালুকদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য চঞ্চল সরকার ও তার সাথে থাকা লোকজন শিক্ষকের পরিবারের কাছে জানায় যে, কে বা কারা শিক্ষকের ওপর হামলা করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে বাড়ির উত্তরপাশে ধানের খলায় ফেলে রেখে গেছে।

পরে শিক্ষকের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ময়মনসিংহে প্রেরণ করা হয় ও পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এদিকে গত সোমবার রাতে শিক্ষকের বড় ভাই ঝন্টু চন্দ্র তালুকদার বাদি হয়ে মধ্যনগর থানায় একটি মামলা করেছেন।

ঘটনার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কেন, কে বা কারা এই হত্যার চেষ্টা করেছে তার কোনো হদিস না পেলেও পুলিশ বলছে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খোঁজে বের করতে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার বিকেলে মধ্যনগর বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন শফিক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

মধ্যনগর থানার ওসি (তদন্ত) শওকত হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকের বড় ভাই বাদি হয়ে সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’

এবিএন/মো. ইমাম হোসেন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ