আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় যুবলীগ নেতাসহ আহত ৪

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:১০

সোনাগাজীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পাল্টাপাল্টি হামলায় ইমাম উদ্দিন নামে ওয়ার্ড যুবলীগের নেতাসহ ৪ জন আহত হয়েছে। অপর আহতরা হলেন ফয়েজ আহাম্মদ,মো: সাহেদ ও সাইফুদ্দিন সৈকত। আহতদের মধ্যে চরছান্দিয়া ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি ইমাম উদ্দিনের আঘাত গুরতর বলে জানা গেছে।

ঘটনাগুলো গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাগাজী- ওলামাবাজার সড়কের প্রগতি কিন্ডার গার্টেন ও চরছান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ঘটে ।আহতরা সবাই উত্তর চরছান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা ,তারা চিকিৎসার জন্য সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে গত ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উত্তর চরছান্দিয়া কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ দীন মোহাম্মদের এজেন্ট ফয়েজ আহাম্মদের সাথে ভোট কেন্দ্রে বাকবিতন্ডার জেরে সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। হামলায় আহত ফয়েজ আহাম্মদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক খুরশিদ আহাম্মদ ভুঞা, নুর নবী, রিদয়,জসিম উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮/৯ নামে মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোনাগাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, আমি উত্তর চরছান্দিয়া ভোট কেন্দ্রে ভাইস চেয়ার প্রার্থী সৈয়দ দীন মোহাম্মদের টিউবওয়েল প্রতিকের এজেন্ট ছিলাম। ভোট চলাকালে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর তালা প্রতিকের এজেন্ট নুরনবী জাল ভোট দেওয়ার সময় বাঁধা দিলে তার সাথে আমার বাকবিতন্ডা হলে সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। তার জেরে সোমবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে গ্রগতি কিন্ডার গার্টেনের সামনে যুবলীগ নেতা ইমাম উদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আড্ডা দেওয়ার সময় অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে আচমকা হামলা চালায়।

এসময় তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায় ও আমাকে পিটিয়ে আহত করে।যুবলীগ নেতা ইমাম উদ্দিন বাঁধা দিতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে।একপর্যায়ে তারা আমাকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক সিএনজিযোগে চরছান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে নিয়ে হাত-পা বেঁেধ দ্বিতীয় দফায় মারধর করে।স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে চিকিৎসার জন্য সোনাগাজী হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত যুবলীগ নেতা ইমাম উদ্দিন বলেন, ফয়েজকে তুলে নেওয়ার নেওয়ার কিছুক্ষন পর যুবদল নেতা খুরশিদ তার দলবল নিয়ে এসে পুনরায় আমার উপর হামলা চালায়। তারা আমাকে এলোপাথারি পিটিয়ে গুরতর জখম করে।

তাদের অভিযোগ প্রত্যাক্ষান করে মো: সাহেদ ও সাইফুদ্দিন সৈকত বলেন, ঘটনার সময় বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে প্রগতি কিন্ডার গার্টেনের সামনে পৌঁছলে ফয়েজ ও ইমাম উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা আমাদের কিলঘুষি মেরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করে।তারা অভিযোগ করে এর আগেও অভিযুক্তরা তাদের পিস্তল দেখিয়ে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে।

উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক খুরশিদ আলম ভুঞা বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িতদের নিবৃত্ত করি। আমি কাউকে হামলা করিনি।প্রকৃত ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত আমাকে ঘটনার সাথে জড়ানো হচ্ছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আহত একজন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশের তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
 

এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ