আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে বালু উত্তোলনে ইউএনও বললেন অনুমতি আছে, ডিসি বললেন নেই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৬

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে আবারও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রায় এক মাস ধরে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে ওই বোমা মেশিন দিয়ে। 

এতে ওই এলাকায় বুড়িমারী-ঢাকা-মহাসড়ক, ডাক বাংলো, জামে মসজিদ, শহীদ মিনারসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। উপজেলা শহরে প্রকাশ্য অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। 

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে উপরের অনুমতি আছে দাবি করলেও জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফের দাবি বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি নেই। ইউএনও বলে থাকলে তিনি মিথ্যা বলেছেন।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলা শহর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে জেলা পরিষদের একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটির কারণে পশ্চিম পাশে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়কটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পুকরের ৪ পাশে পাইলিং নিমার্ণ ও পুকুর খননের কাজ করছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। 

পুকুর খনন ও মাটি ভরাটের জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে খননের নিয়ম থাকলেও তা না করে খননের নামে গত এক মাস আগে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে জম-জামাট বালু ব্যবসা শুরু করে একটি সিন্ডিকেট। বোমা মেশিন দিয়ে মাটির ৭০-১০০ ফিট নিচে থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। ফলে পুকুরে ৫০ থেকে ১ শত গজের মধ্যে অবস্থিত পাশে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়ক, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, নির্মাণাধীন ডাকবাংলো, জামে মসজিদসহ অসংখ্যা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। 

গত এক মাস আগে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করলে বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তা বন্ধ করে দেয় হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও ওই পুকুর থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে যে কোনো মুহুর্তে আরও ভেঙ্গে যেতে পারে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়ক।

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, সরকারি কাজের জন্য মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে উপরের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন, বোমা মেশিন দিয়ে বালু বা পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি দেয়ার প্রশ্নেই উঠে না। ইউএনও বলে থাকলে তিনি মিথ্যা বলেছেন।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ