ধর্মপাশায় প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:০২
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় রমেন্দ্র চন্দ্র তালুকদার (৫০) নামের এক প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। রমেন্দ্র চন্দ্র তালুকদার উপজেলার মধ্যনগর বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মধ্যনগর ইউনিয়নের সম্পদপুর গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল রবিবার রাতে সম্পদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শিক্ষক রমেন্দ্র চন্দ্র তালুকদার প্রতিদিন মধ্যনগর বাজার থেকে রাত আটটার মধ্যেই বাড়ি ফিরে। রোববার সন্ধ্যার পর তাদের বাড়িতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। রাত আটটার দিকে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষ হয়। তখনও রমেন্দ্র চন্দ্র তালুকদার বাড়ি ফিরেননি।
রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য চঞ্চল সরকার ও তার সাথে থাকা লোকজন শিক্ষকের পরিবারের কাছে জানায় যে, কে বা কারা শিক্ষকের ওপর হামলা করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে বাড়ির উত্তরপাশে ধানের খলায় ফেলে রেখে গেছে। পরে শিক্ষকের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ময়মনসিংহে প্রেরণ করা হয় ও পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।’
এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে ধর্মপাশা-মধ্যনগরের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ আজ সোমবার দুপুরে মধ্যনগর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবির, আবুল কালাম চৌধুরী, ঝিনুক শঙ্ক দীপু, সামিউল কিবরিয়া, রমা রঞ্জন সরকার, রাশেদ আলম, পুরঞ্জন সাহা রায়, শাখী রাণী তালুকদার প্রমুখ। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ধর্মপাশা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
বিদ্যালয়ের মেনেজিং কমিটির সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মান উন্নয়নের প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্র চন্দ্র তালুকদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক রেখে চলেছেন। কেন, কে বা কারা এই হামলার ঘটনার ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। যে-ই এই হামলা করে থাকুক তাকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
মধ্যনগর থানার এসআই শওকত হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।’
সহকারি পুলিশ সুপার (ধর্মপাশা সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ স্থানীয় লোকজন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে এ নিয়ে কথা বলেছি তবে ঘটনার পেছনের উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
এবিএন/ইমাম হোসেন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ