প্রেমে বাঁধা দেয়ায় খুন হন কলেজ শিক্ষক সাইফুর

সিলেট মদন মোহন কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সাইফুর রহমান হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে তার প্রেমিকা নিশাত তাসনীম রুপা (২০)। রূপাও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী।

আজ সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রুপা সিলেট মহানগর ৩য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এসময় মোজাম্মিল নামের এক যুবক এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা আদালতকে জানিয়েছেন। তিনি রুপার বর্তমান প্রেমিক বলে জানা গেছে।  

জানা যায়, নগরীর শাহপরান এলাকার খিদিরপুর গ্রামের শফিকুর রহমানের বাসায় লজিং থাকতেন মদন মোহন কলেজের প্রভাষক মো. সাইফুর রহমান (২৯)। শফিকুর রহমানের মেয়ে নিশাত তাসনীম রুপা (২০) কে পড়াতেন তিনি। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে  চলে প্রেম। সম্প্রতি মোজাম্মিলের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রুপা। এতে বাঁধা দেন সাইফুর। এতে ক্ষুব্দ হয়ে মোজাম্মিল হোসেন ও রুপা পরিকল্পনা করে হত্যা করেন সাইফুরকে।

এ ঘটনায় গতকাল গতকাল রবিবার রাতে নগরীর টিলাগড় থেকে ছাতক উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোজাম্মিল হোসেন (২৪) এবং খিদিরপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিশাত তাসনীম রুপা (২০) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ সোমবার (১ এপ্রিল) নিহতের মা রনিফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, সাইফুরের লাশ উদ্ধারের পরই তদন্তে নামে পুলিশ। এতে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি উঠে আসে। এই সূত্র ধরে মোজাম্মিল ও রুপাকে আটক করা হয়। প্রেমসংক্রান্ত বিরোধের কারণেই সাইফুরকে হত্যা করা হয় বলেও জবনবন্দিতে জানায় তারা।

প্রসঙ্গত, সাইফুর গোয়াইনঘাট উপজেলার ফলতইল সগাম গ্রামের মো. ইউসুব আলীর ছেলে। গত শনিবার সকাল ১১টার দিকে মেস থেকে বের হন সাইফুর রহমান। রাতে তিনি আর বাসায় ফিরেননি। রবিবার সকালে দক্ষিণ সুরমার তেলিরাই এলাকায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন।

এবিএন/মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত/জসিম/তোহা