আজকের শিরোনাম :

হাটহাজারীতে নকল ঘি তৈরীর আস্তানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১৮:১৩

হাটহাজারীতে অবৈধ করাতকলে ও নকল ঘি তৈরীর আস্তানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুর বারটার দিকে চারিয়া এবং মনিয়া পুকুর পাড় এলাকার করাতকলে এবং গতকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে সদরের বাস স্ট্যান্ড এলাকার একিিট ভবনে নকল ঘি তৈরীর কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোহাম্মাদ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এ অভিযান দুটি চালানো হয়।

সূত্রে জানা যায়, করাতকল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া করাত কল স্থাপনের অপরাধে উল্লেখিত এলাকার ৫ টি করাতকল মালিক কে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় কলে রক্ষিত কাঠ এবং কলের মেশিনও জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। করাত কলে অভিযান পরিচালনার সময় সাথে থেকে সহযোগিতা করেন, ১১ মাইল বনবিট ফাঁড়ির এসও মো.আব্দুল হামিদ ও হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের একটি টিম।

অপরদিকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে সদরের বাস স্ট্যান্ড এলাকার আয়কর অফিসের পেছনে আর ডি সুপার ফুড ফ্যাক্টরি নামের একটি অবৈধ নকল ঘি তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেখতে প্রান ব্রান্ডের মতই “প্রাম” এবং ইউনিক বাটার অয়েল নাম দিয়ে তৈরী করা বাজারজাতকরণের জন্য রাখা প্রায় ২৫০ লিটার নকল ঘি জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। জানা গেছে, বিভিন্ন নামি-দামি ব্রান্ডের ঘি’র নাম দিয়ে ডালডা ফ্লেভার,হলুদ রঙ এর সাহায্যে নকল ঘি তৈরী করে তাতে দেখতে “প্রাণ” এর মত লোগো লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজেরের পাইকারী ও খুচরা দোকানে সরবরাহ করে আসছিল কারখানাটির মালিক।

স্থানীয়দের দাবী, শুধুমাত্র জরিমানা আদায় করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দেয়ার কারনেই তাদের এসব ২ নাম্বারী ব্যবসা বন্ধ হচ্ছেনা। যার কারনে তারা পুনরায় একই অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। যদি তাদের অর্থদন্ডের সাথে কারাদন্ডেও দন্ডিত করা যেতো তবে হয়তো পুনরায় তারা এসব অপরাধে জড়ানোর সাহস পেতোনা। আর এসব অপরাধীদের যদি শুধুমাত্র অর্থ দন্ড দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় তবে তাদের এসব অপকর্ম চলতেই থাকবে। আর অভিযান গুলোও লোক দেখানো অভিযানে পরিনত হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রুহুল আমিন উভয় অভিযানের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, নকল ঘি তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে জব্দ করা ২৫০ লিটার নকল ঘি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে । এ যাবত ১১মাইল এলাকায় সহ তিনটি নকল ঘি তৈরীর কারখানা বন্ধ করা হয়েছে । তিনি আরও জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।.


এবিএন/আলাউদ্দীন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ