আজকের শিরোনাম :

কাপাসিয়ায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত যারা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০১৯, ১৯:০৫

উপজেলা সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. ইসমত আরা গতকাল রাত ১০ টায় বেসরকারি ভাবে নৌকা প্রতীকের এ্যাড. মো. আমানত হোসেন খানকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে প্রার্থীতা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানত হোসেন খান। তিনি পেয়েছেন ৫৫৮৬১ ভোট। তার বিপরীতে আনারস মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনিসুর রহমান আরিফ পেয়েছেন ২৫৭৮৫ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: আসাদুজ্জামান আসাদ ৩৪৩৩৪ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রওশন আরা সরকার ৪৩২২২ ভোট বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ নির্বাচন কর্মকর্তা ১৬ জন। আছে ২ জন পুলিশ ও ১০-১২ জন আনসার সদস্য। কেউ ব্যালট পেপার নিয়ে বসে আছেন, কেউ অপেক্ষা করছেন ভোটারদের লাইন দিবার জন্য। কিন্তু ভোটার নেই। প্রথম ৬ ঘন্টায় পড়েছে মাত্র ২৬১ টি। প্রতি ঘন্টায় গড়ে ৪৩ টি।  তাতে আলসে সময় পার করেছেন সবাই। কেউ কেউ হালকা ঝিমুনিসহ করছেন খোশগল্প।

এ চিত্র গাজীপুর কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের লোহাদি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের। নারী ভোটারদের এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ১৪২ টি। তবে প্রথম ৬ ঘন্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ২৬১ টি। তাতে অনেকটা অলস সময় পার করেছে সবাই।
জেলার অন্যান্য উপজেলার মত কাপাসিয়ায়ও অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘীরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সকল প্রস্তুতি ছিল ঠিকঠাক। শুধু ভোটারের উপস্থিতিই কম। গতকাল রোববার উপজেলার ২১ টি ভোট কেন্দ্র ঘোরে এমনটাই দেখা যায়।

এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে প্রার্থীতা করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমানত হোসেন খান। তার বিপরীতে আনারস মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আরিফ।  এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। এর মধ্যে কোনো পদেই বিএনপির প্রার্থী ছিল না।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিএনপি সমর্থিত আলহাজ্ব মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমান  পেরা। এবার বিএনপি উপজেলা পরিষদ বর্জন করায় তিনি অংশ নেয়নি। তাই বিএনপির প্রার্থী না থাকা, আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা, ভোটে কারচুপি, ভোট দিতে না পারাসহ বিভিন্ন কারনে ভোটারদের আগ্রহ ছিল কম। সেই প্রভাবই পড়েছে গতকালকের ভোটে।

ভোট গ্রহন শুরু হয় সকাল আটটায়। এর মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় উপাজেলার ভুলেশ্বর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যায়ে গিয়ে দেখা যায় পুরো কেন্দ্রটি ফাঁকা। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তরা অপেক্ষা করছেন ভোটারের জন্য। ততোক্ষনে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৫০ টির মতো। একজন  সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা  জানালেন এখনো সকাল। তাই ভোটারের উপস্থিতি কম।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে দেওনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। এখানেও ভোট গ্রহণের সকল কর্মকর্তারা ভোটারের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে ভোটার নেই বললেই চলে। এখানে আড়াই ঘন্টায় ৭ বুথে ভোট পড়েছে দেড়শ’ কিছু বেশি।

দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠও ছিল ফাঁকা। এই কেন্দ্রে ২ হাজার ২৯৪ ভোটারের মধ্যে তখন ভোট পড়ে ৪৫৮ টি । ভোটার কমের কারন জানতে চাইলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আনোয়ার আল ফয়সাল বলেন, ’সকালে ভোটার বেশি ছিল। এখন দুপুর দেখে হয়তো কম। বিকেলের দিকে আবার বাড়বে।

একই রকম ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে রাণীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোহাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচুয়া উচ্চবিদ্যালয়, নয়াসাঙ্গুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ল, ইদগা উচ্চ বিদ্যালয়, তরুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনজাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৈশন ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়, ইকুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়, হিজলিয়া উচ্চবিদ্যালয়সহ ২১ টি ভোট কেন্দ্রে। এর মধ্যে কোথাও বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার খুব একটা বাড়েনি। দুপুর দুইটায় লোহাদী উচ্চবিদ্যালয়ে যে ভোট পড়েছে ভোট শেষ হবার পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২১ টি।

কপাসিয়া উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৫। নারী ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০৯ টি। এর মধ্যে মোট ভোট পরেছে  ৮৬৪৭২। তার মধ্যে অবৈধ ২৬৭৫ ভোট। বৈধ ৮২৯১৬ ভোট।
 

এবিএন/নুরুল আমীন সিকদার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ