ডোমারে ধানে হতাশ কৃষক, কাঁচাবাজারে আগুন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০১৯, ২২:২৬
জেলার ডোমারে ধানের মুল্য না থাকায় হতাশ হয়ে পরেছে কৃষক।দিনে দিনে ধানের দাম পরতির দিকে থাকায় লোকসানের মুখে পরতে হচ্ছে কৃষককে। আমনধান ডিসেম্বর মাসে কৃষকরা ঘড়ে তুললেও নায্যমুল্য না থাকায় বেশিরভাগ কৃষকের ঘড়েই রয়ে গেছে বেশিরভাগ ধান।শুধুমাত্র সংসদ নির্বাচনের দুইদিন পর দুইদিনের জন্য ধানের মন সাতশত টাকা দরে বিক্রি হলেও সময় গড়ার সাথে সাথে কমতেই আছে ধানের দাম।
বর্তমানে একবস্তা ধানের দাম এগারশত থেকে এগারশত ৪০টাকা। যা কৃষকের উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম। একমন ধান উৎপাদন করতে প্রায় সাড়ে পাচশত টাকা পরে যায় সেখানে ধানের মন বিক্রি করতে হছে সাড়ে পাচশত টাকা দরেই।
ধানের দাম না থাকায় হতাশ হয়ে পরেছে ধানের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো। এখনো অনেকের ঘড়েই রয়ে গেছে ধান। এদিকে আর কিছুদিন পরেই উঠবে নতুন ধান। আমন ধান বিক্রি না করতেই নতুন ধান ঘড়ে উঠলে বিপাকে পরে যাবে কৃষকরা।
নুরন্নবী নামে এক কৃষক জানান কি কারনে ধানের দাম নেই সেটা মাথায় আসছেনা। এদিকে ধানের দাম না থাকলেও ধান উৎপাদনের জন্য সার,কীটনাশক,ভিটামিনসহ পানির উচ্চমুল্যে নাভিশ্বাস উঠেছে কৃষকদের। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবাররা হয়ে পরেছে অসহায়। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বেশিরভাগেই ধানের উপর নির্ভরশীল।
ধানের নায্যমুল্য না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সাদ্দাম নামে এক চাল ব্যবসায়ী জানান,বর্তমানে ধানের বাজারমুল্য একেবারেই কম হলেও সেই তুলনায় চালের দাম কমেনি।কমেনি ২৮ বা মিনিকেট চালের দাম।অপরদিকে ধানের দাম না থাকলেও বেড়েছে তেল ও আটার দাম। কাচামালের বাজারেও লেগেছে আগুন।
পটল ৭০টাকা, পাটশাক ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, সজনা ১২০টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। মাংসের দামও বেড়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৬০/৪৮০ টাকা দরে। প্রতিদিনেই ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের লোকসান করেই ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক কৃষক জানিয়েছেন এবারো ধানের নায্যমুল্য পাওয়া না গেলে ধান আবাদেই তারা ছেড়ে দিবেন। তারা বলছেন লোকসান করে ধান আবাদ করে লাভ কি।
কৃষক মজিবুল জানান,প্রতিবিঘা জমিতে পানি দিতে দুই হাজার টাকা লাগে। আবার প্রতি বিঘা ধান কাটতেও লাগে প্রায় দুই হাজার টাকা।তিন দফায় সার দিতে হয়। দিতে হয় থিয়োভিট ও কিটনাশক।এ সবের পরেও ধানে নানা রোগজীবানু আক্রমন করে। সেখানেও লাগে টাকা। দেখা যাচ্ছে উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক সময় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ধান।
এবিএন/আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ