যমুনার চরে পটল চাষে হতদরিদ্র কৃষকরা স্বাবলম্বী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৮, ১৭:৩৭
সিরাজগঞ্জ, ০১ জুন, এবিনিউজ : যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ধীতপুর চরে এবার ব্যাপক হারে পটল চাষাবাদ হয়েছে। বালুর চরে পটলের বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ চাষাবাদে হতদরিদ্র কৃষকরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। এক সময় তারা দু‘বেলা পেট ভরে খেতে পারতো না। রাত কাটাতো খড় ও গমের কাটার তৈরী ঝুঁপড়ি ঘরে।
এ লাভজনক পটল চাষ করে এখন তাদের অনেকের বাড়িতে দোচালা চৌচালা টিনের ঘর নির্মাণ করেছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে মোটামুটি বসবাস করছে। এ বিষয়ে কথা হয় ধীতপুর গ্রামের রাজ্জাক (৪৯) আলমাস আলী মন্ডল (৪৪), লিপি খাতুন (৩৪) স¤্রাটসহ অনেকের সাথে।
তারা জানান, রাক্ষুসী যমুনার তান্ডবে ১০ থেকে ১২ বার তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গেছে। প্রতিবারই তারা এক চর ছেড়ে অন্য চরে গিয়ে বসতি গড়েছেন। এতে তারা সর্বস্ব হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব। এ বছর বিঘাপতি ১২ হাজার টাকা বছর চুক্তিতে অন্যদের জমি লিজ নিয়ে সেখানে পটল চাষ করেছে এই চরের হত দরিদ্র শতাধিক কৃষক। তাদের এ জমিতে পটলের আবাদ খুবই ভাল হয়েছে এবার। পটল গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে পটল ধরেছে। থোঁকা থোঁকা পটলে ছেয়ে গেছে পুরো জমি।
প্রায় দেড় মাস ধরে তাদের এ জমি থেকে পটল উঠতেও শুরু করেছে। এরই মধ্যে তারা প্রত্যেকে প্রায় ১ লাখ টাকার পটল বাজারে বিক্রি করেছে। সেইসাথে তারা এ জমির পাশে মিষ্টি লাউ ও লাউ শাক চাষ করেছে। ইতিমধ্যেই তারা প্রত্যেকে প্রায় ২০ হাজার টাকার মিষ্টি লাউ বিক্রি করেছে। আগামী বছর এ পটল চাষের পাশাপাশি তারা পতিত জমিতে ভূট্টা ও অন্যান্য সব্জি চাষ করবে বলে আষা করছেন।
লিপি খাতুন জানায়, এ বছরই প্রথম পটল চাষ করছি। প্রথম বছরেই পটলের ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি মণ পটল তারা পাইকারি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছে। লাভ ভাল পাওয়ায় তারা আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে পটল চাষ করার সম্ভাবনা আছে। পটল চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ায় খুব খুশি হয়েছে অনেকেই।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মনজু আলম সরকার বলেন, এ বছর শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলে সোনাতুনি, গালা, জালালপুর ও কৈজুরি ইউনিয়নের প্রায় ২১টি গ্রামের ৩৫ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা পটল চাষ করেছে। এর মধ্যে ধীতপুর চর, ছোট চানতারা, মাকড়া, শ্রীপুর, বড় চানতারা, বানতিয়ার, জগতলা গ্রামে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
পটল চাষ করে শাহজাদপুরের যমুনা নদীর চর এলাকার হতদরিদ্র শতাধিক কৃষক বেশ স্বচ্ছল ও স্বাভলম্ভী হয়ে উঠছে। এতে আগামী বছর পটলের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। পটল বেলে দোআশ মাটিতে ভাল জন্মে। এ ছাড়া পটল চাষে খরচও খুব কম। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ করা যায় বলে চরের হতদরিদ্র কৃষকদের এ লাভজনক পটল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা
এ লাভজনক পটল চাষ করে এখন তাদের অনেকের বাড়িতে দোচালা চৌচালা টিনের ঘর নির্মাণ করেছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে মোটামুটি বসবাস করছে। এ বিষয়ে কথা হয় ধীতপুর গ্রামের রাজ্জাক (৪৯) আলমাস আলী মন্ডল (৪৪), লিপি খাতুন (৩৪) স¤্রাটসহ অনেকের সাথে।
তারা জানান, রাক্ষুসী যমুনার তান্ডবে ১০ থেকে ১২ বার তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গেছে। প্রতিবারই তারা এক চর ছেড়ে অন্য চরে গিয়ে বসতি গড়েছেন। এতে তারা সর্বস্ব হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব। এ বছর বিঘাপতি ১২ হাজার টাকা বছর চুক্তিতে অন্যদের জমি লিজ নিয়ে সেখানে পটল চাষ করেছে এই চরের হত দরিদ্র শতাধিক কৃষক। তাদের এ জমিতে পটলের আবাদ খুবই ভাল হয়েছে এবার। পটল গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে পটল ধরেছে। থোঁকা থোঁকা পটলে ছেয়ে গেছে পুরো জমি।
প্রায় দেড় মাস ধরে তাদের এ জমি থেকে পটল উঠতেও শুরু করেছে। এরই মধ্যে তারা প্রত্যেকে প্রায় ১ লাখ টাকার পটল বাজারে বিক্রি করেছে। সেইসাথে তারা এ জমির পাশে মিষ্টি লাউ ও লাউ শাক চাষ করেছে। ইতিমধ্যেই তারা প্রত্যেকে প্রায় ২০ হাজার টাকার মিষ্টি লাউ বিক্রি করেছে। আগামী বছর এ পটল চাষের পাশাপাশি তারা পতিত জমিতে ভূট্টা ও অন্যান্য সব্জি চাষ করবে বলে আষা করছেন।
লিপি খাতুন জানায়, এ বছরই প্রথম পটল চাষ করছি। প্রথম বছরেই পটলের ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি মণ পটল তারা পাইকারি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছে। লাভ ভাল পাওয়ায় তারা আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে পটল চাষ করার সম্ভাবনা আছে। পটল চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ায় খুব খুশি হয়েছে অনেকেই।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মনজু আলম সরকার বলেন, এ বছর শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলে সোনাতুনি, গালা, জালালপুর ও কৈজুরি ইউনিয়নের প্রায় ২১টি গ্রামের ৩৫ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা পটল চাষ করেছে। এর মধ্যে ধীতপুর চর, ছোট চানতারা, মাকড়া, শ্রীপুর, বড় চানতারা, বানতিয়ার, জগতলা গ্রামে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
পটল চাষ করে শাহজাদপুরের যমুনা নদীর চর এলাকার হতদরিদ্র শতাধিক কৃষক বেশ স্বচ্ছল ও স্বাভলম্ভী হয়ে উঠছে। এতে আগামী বছর পটলের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। পটল বেলে দোআশ মাটিতে ভাল জন্মে। এ ছাড়া পটল চাষে খরচও খুব কম। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ করা যায় বলে চরের হতদরিদ্র কৃষকদের এ লাভজনক পটল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ