উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
গায়েবী মামলা ও পুলিশী হয়রানির অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০১৯, ১৭:৫৫
ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ রাজ্জাক সেলিম বলেছেন, প্রতিদ্বন্দি নৌকা মার্কার প্রার্থীর হামলা, গায়েরী মামলা ও পুলিশী হয়রানিতে চরম আতংকে বয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সাদাপোষাকে পুলিশী অভিযান ও তার পিএস মামুন সিকদারকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে যেকোনো সময় তার কার্যালয়ে ও কর্মি-সমর্থকদের উপর পুনরায় হামলার আশংকা ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ ও সহযোগীতা কামনা করেন। তার নির্বাচনী কার্যালয়ে ইতোপূর্বে হামলা-ভাংচুর করে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষনি ও ৩ কর্মীকে আহত করা ঘটনা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন এ ঘটনায় পুলিশ মামলা না নিলেও আমার কর্মীদের নামে দুটি গায়েবী মামলা নিয়েছে। এর একটি হলো ধানসিড়িতে নৌকা কার্যালয়ে আগুন ও আ’লীগ অফিসে বোমা বিস্ফোরনের দুটি গায়েবী মামলা দায়ের করলেও দুটি ঘটনাই মিথ্যা-বানোয়াট। এ ধরনের কোন ঘটনাই ঝালকাঠিতে ঘটেনি বা কোন সংবাদপত্র বা মিডিয়ায় এ সংবাদ আসেনি। অথচ ভাবতে অবাক লাগে কোন ধরনেখোজখবর বা প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই পুলিশ তাদের সেই মিথ্য মামলা রেকর্ড করেনেয়।
রাজ্জাক সেলিম বলেন, প্রতিদিন আমার র্নিবাচনী কার্যালয়ের সামনে জঙ্গি ষ্টাইলে স্বন্ত্রাসী মহড়া ও হামলা চালানো হচ্ছে। আমার কর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে পুলিশ ও সাদা পোষাকের লোকজন ঝটিকা অভিযান চালাচ্ছে। তিনি আগামী ২৪ মার্চ পযর্ন্ত যাতে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারেন সে ব্যাপারে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
উল্লেখ্য গত রবিবার জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ রাজ্জাক সেলিমের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খান আরিফুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ