আজকের শিরোনাম :

ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আতাউর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০১৯, ২০:১৮

ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গত সোমবার ১৮ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ফুলবাড়ীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৩৭ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী সুদর্শন পালিত পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৮২ ভোট।  এক্ষেত্রে ব্যবধান ১ হাজার ৭৫৫ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির হাতুরি প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম শিকদার। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫৩ ভোট।

একই ভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত তালা প্রতীকের প্রার্থী মঞ্জুর রায় চৌধুরী পেয়েছেন ৩২ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে ভাইসচেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র  উড়োজাহাজ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মোকলেছার রহমান পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯০৬ ভোট। অপর দিকে স্বতন্ত্র টিউবয়েল প্রর্তীকের প্রার্থী আবু মুসা পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৭০ ভোট।

আওয়ামী লীগের মনোনীত কলস প্রতীকের প্রার্থী নীরু সামসুন্নাহার পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বে-সরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকট তম প্রতীদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের বিএনপি বহিস্কৃত এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ হাসিনা পারভিন পেয়েছেন ২১ হাজার ২৭৪ ভোট।  অপরদিকে স্বতন্ত্র হাঁস প্রতীকের প্রার্থী হাজেরা বেওয়া পেয়েছেন ১০ হাজার ৯০ ভোট।  ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৮টা থেকে উৎসবমূখর পরিবেশে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে  প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাসিম হাবীব বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, একজন সহকারী পুলিশ সুপার, ৬ জন পুলিশ পরিদর্শক সহ ১৭৪ জন পুলিশ সদস্য এবং ৬২৪ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, উপজেলার ৫২ টি ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৫২ জন পিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৩৬৭ জন সহকারী পিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৭৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণ কাজে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি (ইউএনও) নির্বাচনের সার্বিক তদারকি করলেও এর পাশাপাশি দায়িত্বে ছিলেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।  প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একটি করে ভ্রাম্যমান আদালত ছিল।  ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মাঠে সার্বক্ষণিক ভাবে কাজ করলেও আর ও অতিরিক্ত ৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য রিজাভে ছিলেন বলে জানান। ভোটের পর থেকে ফুলবাড়ীতে সবকিছু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে।

এবিএন/মোঃ আফজাল হোসেন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ