হারিয়ে যাচ্ছে কাদিগড় জাতীয় উদ্যানে সৌন্দর্য্য, রক্ষার দাবি স্থানীয়দের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১৯:০২
ময়মনসিংহের ভালুকা রেঞ্জের কাদিগড় বন এলাকায় কাদিগড় জাতীয় উদ্যানে শাল গজারি বন উজাড় হওয়ায় বনে খাবার মিলছে না বানর-হনুমানসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর। যেসব গাছের ফলফলাদি আর লতাপাতায় বন্যপ্রাণীদের জীবন বাঁচার কথা, সে সবের অনুপস্থিতি এ বনে এখন প্রকট। তাই ওরা পেটের তাগিদে বন ছেড়ে যাচ্ছে লোকালয়ে। ক্ষুধা নিবারণে গৃহস্থের ফসল, ফল বা সবজি বাগানে হামলে পড়ছে।
হবিরবাড়ি ও কাদিগড় এলাকায় শাল গজারি বন এক সময় গহিন অরণ্যে ছিল ভরপুর। সে সময় বানর-হনুমানসহ বাহারি রঙের নানা প্রজাপতির পাখির কিচিরমিচির কলতানে মুখরিত থাকত এ বন। গাছে গাছে পাখিরা গান করত আর নাচত। গাছের ডালে ডালে লাফালাফি করত শত শত বানর, হনুমান ও কাঠবিড়ালি। বৃষ্টিঝরা রৌদ্রে পেখম মেলত ময়ূর, আর ডাগরনয়না হরিণ ছাড়াও বাঘডাস, কাঠবিড়ালি, বনবিড়াল, শূকর, বেজি, শিয়াল, ওয়াফ, সজারু, গুইসাপ, অজগরসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী দেখা যেত এ বনের সর্বত্র। কিন্তু খাবার না পাওয়ার ফলে এ বনের বন্যপ্রাণী বানর, হনুমানসহ ও অন্য পশু-পাখিগুলো বনে আশ্রয় না পেয়ে ক্ষুধা-তৃৃষ্ণায় কাতর হয়ে খাদ্য ও আশ্রয়ের সন্ধানে লোকালয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর দেশের সব বিবেকবান মানুষকে অশ্রুসজল চোখে সকরুণ মিনতি জানাচ্ছে বন রক্ষা করো, আমাদের বাঁচাও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা বলেন স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে রাতের আধারে দেদার্সে চুরি হচ্ছে গজারি ও আকাশমনি গাছ এবং দিনের বেলা এসব বনভূমি দখল হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির অধীনে। এতে স্থানীয় প্রভাবশালীসহ বনকর্মকর্তাদের প্রত্যেক্ষ ও প্ররোক্ষ যোগসাজস রয়েছে। সচেতন মহলের ধারনা অধ্যসিত বন এলাকায় একাধিক অবৈধ করাতকল থাকায় কাঠ চুরদের পোয়াবার। এসব করাতকল ও গাছচুরদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে স্থানীয় বন বিভাগ বরাবরই উদাসীন।
এ ব্যাপারে ভালুকা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, কাদিগড় জাতীয় উদ্যানে আশ্রীত পশু-পাখিদের খাবারের জন্য উর্দ্বতন কতৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে তিনি আরও বলেন, অতি মাত্রায় বেড়ে উঠা করাতকল গুলোর বিরোদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এবিএন/জাহিদুল ইসলাম খান/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ