আজকের শিরোনাম :

সিলেটে বিভিন্ন পরিচয়ে ছিনতাই, অত:পর আটক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১৭:১৪

রাহেল আহমদ (২৮)। কখনো পুলিশ, কখনো র‌্যাব পরিচয়ে ছিনতাই করতো ওই যুবক। মোটর সাইকেলে করে কখনো একজন, কখনো দুইজন সহযোগী নিয়ে সাদা পোশাকে কোমরে পুলিশের ব্যবহারের ইসব্রিং এর লাঠি, ওয়ার্লেস সাদৃশ্য পুলিশের ব্যবহৃত ছোট টর্চ লাইট ঝুলিয়ে কখনো পুলিশ আবার কখনো র‌্যাব পরিচয়ে তল্লাশির নামে রিকশা কিংবা সিএনজিতে থাকা লোকদের করতো ছিনতাই। রাহেল সিলেট নগরীর চাঁদনীঘাটের ঝালোপাড়া এলাকার রফিক আহমদের ছেলে। অবশেষে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে এক সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সে জানায়, ছিনতাইয়ে তার প্রধান টার্গেট থাকতো গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষ, না হয় সিলেটের বাইরে থেকে আসা লোকজনদের। পুলিশের কাছে অভিযোগ থাকলেও একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এমনকি তার বাসায় অভিযান চালিয়েও তাকে আটক করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। অবশেষে গত মঙ্গলবার রাত ১২ টায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগীতায় এক সহযোগীসহ তাকে আটক করে দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতলী ফাঁড়ি পুলিশ। তার সহযোগীর নাম বিশ্বজিৎ পাল নিলু (৩০)। সে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের রফিপুর এলাকার পালপাড়ার বিভাস পালের ছেলে। এসময় তার পকেটে ১৪ পিস ইয়াবা টেবলেট ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদী, পুলিশের ব্যবহারের একটি অত্যাধুনিক ইসব্রিং লাঠি, অত্যাধুনিক একটি চাকু, কালো একটি ছোট ম্যাগনেট লাইট পাওয়া যায়।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ক্বীন ব্রিজে একটি রিকশা দাঁড় করিয়ে রিকশায় থাকা একজন লোকের ব্যাগ তল্লাশি করছিলো রাহেল ও তার সহযোগী বিশ্বজিৎ পাল নিলু। এসময় তাদের পরিচয় জানতে স্থানীয় দুই সাংবাদিক সোহাগ ও শরীফ। তখন দুই ছিনতাইকারী নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিলে কোন থানার পুলিশ তা জিজ্ঞাসা করলে তারা দুইজন দক্ষিণ সুমরা পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ পরিচয় দেন। তখন সাংবাদিক সোহাগ ফোন করেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজলের কাছে এবং ব্রিজের উপর সাদা পোশাকে তাদের কোন পুলিশ সদস্য তল্লাশি করছেন কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন ওখানে পুলিশের কোন সদস্য নেই এবং কেউ থাকলে সে ছিনতাইকারী। তাকে আটক রাখার জন্য বলেন। পরে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির দুই দল পুলিশ তাদের আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।

সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জ বেনু চন্দ্র দেব বলেন, পুলিশের পরিচয় দিয়ে তারা নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই করত বলে তথ্য থাকলেও একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে ধরা যায়নি। তিনি বলেন, সে ইয়াবা ব্যবসার সাথেও জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনসহ নিয়মিত আইনে মামলা করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

 

এবিএন/মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ