আজকের শিরোনাম :

চরভদ্রাসনে গৃহবধূর আত্মহত্যা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০১৯, ১৪:৫৫

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে সোনিয়া আক্তার (২০) নামে তিন মাসের অন্ত:সত্বা এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। 

মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে শ^শুর বাড়ীর পরিত্যাক্ত একটি ঘর থেকে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় সোনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে চরভদ্রাসন থানা পুলিশ ।

সোনিয়ার স্বামী আলামিন (২৫) বলেন আট মাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। স্ত্রীর গর্ভে তিন মাসের সন্তান ছিল। সোমবার বেলা ১১টার পর হতে সোনিয়াকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন সকাল ৮টার দিকে আমার বাবা পাশের একটি ঘরের আড়ার সাথে আমার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

গৃহবধূর শশুর বালিয়া ডাঙ্গী স. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান (৪৯) বলেন সোমবার দিন সোনিয়াকে খুজতে গিয়ে দেখতে পাই একটি বাক্সে রাখা স্বর্নালংকার ও নগদ ১০ হাজার টাকা নেই। পরে আমি  চরভদ্রাসন থানাকে মালামালসহ পুত্রবধূ খুজে না পাওয়ার বিষয়টি অবগত করি। 

মঙ্গলবার সকালে আমি বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় একটি ঘরের তালা খোলা দেখতে পেয়ে এগিয়ে ঘরের দড়জা ভেতর থেকে বন্ধ দেখি। পরে একটি মই বেয়ে উঠে পুত্রবধূক ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।

সোনিয়ার বাড়ী সদরপুর উপজেলার চর বিঞ্চুপুর ইউনিয়নের কলা ডাঙ্গী নামক গ্রামে। তার বাবার নাম রহিম প্রামাণিক। মুঠে ফোনে তার মেঝ বোন চায়না বলেন “সদরপুর কলেজে লেখাপড়া করেছে আমার বোন।সে আত্যান্ত ভাল মনের ছিল। সে আত্মহত্যা করতে পারে না।”

সোনিয়ার শ^শুর বাড়ীর একাধিক প্রতিবেশীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এর পূর্বে আলামিনের শ্যামলি নামের এক স্ত্রী দের মাস সংসার করার পরার খোরপোসের অভিযোগ এনে চলে যায়।

এ ছাড়া সোনিয়ার লাশের পাশে গুল সদৃশ্য বস্তু গুলানো অবস্থায় একটি মগ পরে থাকতে দেখে রহস্যের জাল বুনে স্থানীয়দের মনে।

ঘটনার ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানা পরিদর্শক হারুন অর রশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।

তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. সৈয়াদুর বলেন লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। 

এবিএন/কে এম রুবেল/গালিব/জসিম
   

এই বিভাগের আরো সংবাদ