আজকের শিরোনাম :

ক্ষেতলালে নির্বাচনী সহিংসতায় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০১৯, ১৩:০২

১০ মার্চ জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেন। উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নে নৌকা সমর্থকরা ওই ইউনয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাতিজা ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত, অপর গ্রামে প্রতিমা ভাংচুর ও সংখ্যালঘু পরিবারে উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

নির্বাচনের পর রবিবার রাতে ও সোমবার সকাল দশটায় আলমপুর সাহাপাড়া গ্রাম ও ফুলদীঘি বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা ওই ইউনয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি-ধুমকি ভয়ভীতি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ক্ষেতলাল থানার (ওসি) তদন্ত সেলিম মালিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হাজির হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
 
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানান। 

জানা গেছে, ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ. লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডল বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তাইফুল ইসলাম পরাজিত হন। নির্বাচনের পর রাত ৯টায় আবুল কাশেম এর নেতৃত্বে আলমপুর গ্রামে নৌকার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ওই গ্রামের গোপীনাথ সাহার বাড়ির দরজা ও টিনের চালায় এলোপাথারি লাঠি চার্জ করলে বাড়ির লোকজনদের আতঙ্কিত করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। 

এ সময় পরিবারের লোকজন নিয়ে গোপীনাথ সাহা বাড়ি থেকে বের হলে মিছিলকারীরা পিছু হটে। ওই দিন গভীর রাতে তাঁর বাড়ির পাশে রাস মন্দিরে বারান্দায় অধ্য তৈরিকৃত কয়েকটি প্রতিমার কিছু অংশ ভাংচুর করে এবং পাশে দুটি খরের গাদায় কে বা কাহারা আগুন ধরিয়ে দেয়। 

অন্যদিকে সোমবার সকালে ফুলদীঘি বাজারে নৌকার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করলে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। সকাল ৯টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজা আলমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. লীগ নেতা নাদিম তালুকদার বাড়ী থেকে ফুলিদীঘি বাজারে আসার পথে হামলার শিকার হয়। তাঁকে লাঞ্চিত করে এবং তাঁর সাথে থাকা আজিজুল হককে লাঠি-সোটা দিয়ে নৌকার সমর্থকরা তাঁকে মারপিট করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ক্ষেতলাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে আলমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা রাজিবুল ইসলাম রাজু বলেন, ১০ মার্চ নির্বাচনে নিজেদের অপকর্মের কারণে পরাজিত হয়ে তাঁরা নিজেরায় নিরীহ মানুষ গুলোর উপর মামলা, হামলা, ভয়ভীতি দেখিয়ে জনমনে অতংঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জনগণ সেটা নিজেরায় প্রতিহত করছেন। বিজয়ী প্রার্থীর কোন লোকজন তাদের কোন ভয়ভীতি বা লাঞ্চিত, মারধর করেনি।  

ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম মালিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরবর্তীতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য ফুলদীঘি বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. নিপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সাথে যারা জরিত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হউক।

এবিএন/মিজানুর রহমান/গালিব/জসিম

    


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ