আজকের শিরোনাম :

নন্দীগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০১৯, ১০:৪৩

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এখন ব্যস্ত সময় অতিক্রম করেছে প্রার্থীরা। আগামী ১৮ মার্চ নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই প্রার্থীরা দিনরাত ভোট প্রার্থনা ও প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে। 

নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৩১ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৯টি। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
    
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ্ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. আলেকজান্ডার (দোয়াত কলম), স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা জাসদের সভাপতি কামরুজ্জামান (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান (কাপ পিরিচ), স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. রাফি পান্না (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহ্ফুজার রহমান (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র মহন্ত (মাইক), উপজেলা বিএনপির সভাপতি একে আজাদ (টিউবওয়েল), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিউল আলম ছবি (উড়োজাহাজ), পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন (তালা) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তারিন জাহিদ সরকার (চশমা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শ্রাবণী আকতার বানু (হাঁস), জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি (প্রজাপতি), রেশমা আরা সাথী (কলস), মুঞ্জুয়ারা বেগম (ফুটবল) ও খালেদা বেগম (পদ্মফুল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। 

ইতোমধ্যেই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. রাফি পান্না ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো.আলেকজান্ডারকে বহিস্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি একে আজাদকে বহিস্কার করা হয়েছে। 

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ্ বলেন, আমার বাবা এই উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। আমাকে ২০০৯ সালের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম উপজেলাবাসী বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিল। এবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমি আশা করি।    

চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আলেকজান্ডারকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বহিস্কার করা হয়েছে। তাছাড়া সে রাজনৈতিক মামলায় বগুড়া জেলা কারাগারে আটক থাকায় তার ভাই ও স্বজনরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে তার সমর্থকরা শতভাগ আশাবাদী। 

এ দিকে উপজেলার সবজায়গায় ভোটারদের মাঝে শুরু হয়েছে ভোট ভাবনা। সারা দিন কর্মজীবী মানুষগুলো যে যেখানেই থাকুক না কেন সন্ধ্যা হলেই পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানে বসে প্রার্থীদের নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। 

উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোছা. শারমিন আখতার জানান, আগামী ১৮ মার্চের নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এবিএন/অদ্বৈত কুমার আকাশ/গালিব/জসিম 
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ