আজকের শিরোনাম :

বাম্পার ফলনে দিন ফিরেছে বগুড়ার সোনাতলার মরিচ চাষিদের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০১৯, ১০:৪২

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর দাম ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে । উপজেলাটির উপর দিয়ে যমুনা ও বাঙালী নদী বয়ে যাওয়ায় বন্যার পর জমিতে পলি জমে। যার ফলে এ অঞ্চলে মরিচের ফলন বরাবরই ভালো হয়। কিন্তু কৃষি অফিস বলছে এবার উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাহ উদ্দিন সরদার জানান,এই উপজেলায় এবার ১৩শ‘ ২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। ওই উপজেলার কৃষকেরা তিনটি হাইব্রিড জাতের মধ্যে সনিক, ১৭০১ ও বিজলী প্লাস এবং স্থানীয় উন্নত জাতের মরিচের ব্যাপক চাষ করেছে। এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। মরিচের বীজ বপণের ৩০-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ৬০-৭০ দিনের মধ্যে কৃষক গাছ থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু করে।

প্রতিবিঘা জমিতে ১২/১৫ মন মরিচ উৎপন্ন হয়। বর্তমানে প্রতি মণ কাচা মরিচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা। আবার টোপা ও সুট মরিচ ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ও করমজা হাটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক তাদের উৎপাদিত কাঁচা মরিচ ও শুকনা মরিচ বাজারজাত করণ করছে। আর ভালো দাম পেয়ে নগদ অর্থ ঘরে তুলছে তারা।

উপজেলার খাবুলিয়া এলাকার মরিচ চাষি শামছুল হক জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। প্রতি বছর তিনি ওই পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেন। মরিচ চাষে লাভ ভালো হয়। এমনকি সারা বছর খাওয়া চলে বলেও জানান তিনি।

পাকুল্যা এলাকার কৃষক ফরহাদ হোসেন জানান, এবার তিনি ৫/৬ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে ব্যাপক লাভভান হয়েছেন। ঠাকুরপাড়া এলাকার তোজাম্মেল হক জানান, এবার তিনি ৬/৭ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ বপন করেছেন। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। ইতিমধ্যেই তিনি প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা মরিচ বিক্রি করেছেন বলেও জানান।

 

এবিএন/খালিদ হাসান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ