আজকের শিরোনাম :

কয়রায় উপাধ্যক্ষ হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০১৯, ১৭:০৯

কয়রা সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদরাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাও. আব্দুল হাই শেখ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অবশেষে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সিআইডি খুলনা মেট্রো (দক্ষিণ) পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) শেখ শাহাজাহান কর্তৃক গত ৩০/১/১৯ ইং তারিখ স্বাক্ষরিত ৭ পৃষ্টার অভিযোগপত্রটি সম্প্রতি উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।

চার্জশিটে নিহত উপাধ্যক্ষের দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানা সুলতানা বেবি (৪৬), তার পুত্র মোঃ মাসুদ বিল্লাহ (২৪), খুলনার নিরালা বাগমারা এলাকার আব্দুর রহমানের পুত্র মো. ইমরান আলী মোল্লা (১৯) ও কয়রায় গোলখালি গ্রামের সামাদ গাজীর পুত্র মোঃ শফিকুল (২২) এর নাম উল্লেখ রয়েছে। চ্যঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বাদী নিহতের আপন ভাই মাওঃ মোঃ আব্দুস সাত্তার সহ ২৫ জন স্বাক্ষীর দেখানো হয়েছে।
আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই রাতে উপাধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুল হাই শেখের গলাকাটা লাশ তার বসতঘরের উত্তর পাশে কবরস্থানের নিকট পুকুরে পাওয়া যায়। ভোর ৬টায় সময় কান্নাকাটির শব্দ শুনে নিহতের ভাই মামলার বাদী মাও. আব্দুস সাত্তার দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখতে পায় তার ভাইয়ের লাশ স্ত্রী পুত্র স্বজনরা পুকুর থেকে তুলে বাড়ির ভেতরের বসতঘরে রাখে।

সিআইডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ শাহাজাহান অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের সাথে জমি জায়গার বিরোধে উপাধ্যক্ষের দ্বিতীয় স্ত্রী পুত্রদের ঝগড়াঝাটির কারণে দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানা সুলতানা বেবি, তার পুত্র মো. মাসুদ বিল্লাহ, খুলনার নিরালা বাগমারা এলাকার আব্দুর রহমানের পুত্র মো. ইমরান আলী মোল্লা (১৯) ও তাদের নিকট আতœীয় গোলখালি গ্রামের সামাদ গাজীর পুত্র মো. শফিকুলের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করার পর লাশ পুকুরের মধ্যে ফেলে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করায় পেনাল কোডের ৩০২/২০১/৩৪ ধারার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়েছে।

উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে এম/ই দাখিল পূর্বক মতবিনিময়কালে কর্তৃপক্ষ আমার তদন্তের সাথে একমত পোষণ করেন বলে চার্জশিটে সিআইডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শেখ শাহাজান উল্লেখ করেন।  
 

এবিএন/শহীদুল্লাহ শাহীন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ