গলাচিপায় ঝড়-বৃষ্টিতে প্রায় ২কোটি টাকার ফলনের ক্ষতি!
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০১৯, ২১:৫৫
পটুয়াখালীর গলাচিপায় হঠাৎ বৃষ্টি ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে আলু, তরমুজ, মরিচ, মুগডাল, খেশারী ডাল, ফেলন ডাল, মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শব্জি ও বাদাম চাষীদের ক্ষেতে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে পানি জমে যাওয়ায় ফসল পচন ধরার উপক্রম হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমের মত অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে প্রতিটি ক্ষেতে পানি জমে ফসল তলিয়ে আছে। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী ক্ষেতের পানি নিস্কাষনের জন্য সেলো মেশিন ও বালতি দিয়ে ক্ষেতের পানি নিস্কাষনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এতে কৃষকরা কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মূখীন হওয়ার আাশংকা করছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে রবিশষ্যের ১ শত ৮০ কোটি ৫০ লক্ষ ৬২ হাজার ৫ শত টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলায় তরমুজ-৭৬০০ হেক্টর, আলু-৩০০ হেক্টর, মুগডাল-১৫০০ হেক্টর, খেশারী- ১০৫০ হেক্টর, ফেলন ডাল-২৪৫০ হেক্টর, বাদাম-১৮০০ হেক্টর, মরিচ- ২০৫০ হেক্টর ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শবজী -৭০০ হেক্টর জমি আাবাদ হয়েছে।
প্রতি হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে, আলু- ৪০ টন, তরমুজ-৫০ টন, মুগ ডাল- ১ টন, খেশারী- ২ টন, ফেলন ডাল- দের টন, বাদাম- সোয়া ৩ টন, মরিচ- ২ টন শুকনা ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শব্জি - সাড়ে ৩৭ টন। উপজেলায় মোট উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে, তরমুজ- ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টন, আলু- ৩০ হাজার টন, মুগ ডাল- ১ হাজার ৫ শত টন, খেশারী- ২ হাজার ১ শত টন, ফেলন- ৩ হাজার ৬ শত ৭৫ টন, বাদাম- ৫ হাজার ৬২৫ টন, মরিচ শুকনা- ৪ হাজার ১ শত টন ও মিষ্টিকুমরা সহ শাক-শবজী -২৬ হাজার ২৫০ টন। প্রতি হেক্টরে খরচ ধরা হয়েছে, আলু- ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, তরমুজ- ২ লক্ষ টাকা, মুগ ডাল- ৪২ হাজার ৫ শত টাকা, খেশারী ডাল- ৩০ হাজার টাকা, ফেলন ডাল- ৪২ হাজার ৫ শত টাকা, মরিচ- ২৫ হাজার টাকা, বাদাম- ৬২ হাজার ৫০০ টাকা ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শবজী ৫০ হাজার টাকা। উপজেলায় মোট খরচ ধরা হয়েছে - আলু- ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, তরমুজ- ১ শত ৫২ কোটি টাকা, মুগ ডাল- ৬৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা, খেশারী ডাল- ৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা, ফেলন ডাল- ৪ কোটি ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, বাদাম- ১১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা, মরিচ- ১০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শবজী - ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এ ব্যাপারে আলু চাষী মুরাদ নগর ও বোয়ালিয়ার, মুছাব্বার, মামুন, মোশারেফ চৌকিদার ও জাকির ফকির জানান, আমরা প্রত্যেকেই দের একর ও ২ একর জমিতে আলু চাষ করেছি। শেষ মুহুর্তে এসে অতি বৃষ্টিতে আলু ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আলু গাছ ও আলুতে পচন ধরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আলু ক্ষেত থেকে পানি নিস্কাষন করার জন্য বিভিন্ন রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি কোন রকম পচন দেখা দেয় তাহলে আমাদের পথে নামার উপক্রম হবে। তরমুজ চাষী জয়নাল মল্লিক কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি ১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি, হঠাৎ অতি বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতে পানি জমে তরমুজ গাছে ফাংগাস রোগে আক্রমন করেছে। ক্ষেত থেকে পানি নিস্কাষনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর কারনে কিছু গাছ মরে গেছে। সুদে টাকা এনে তরমুজ চাষ করেছি। যদি কোন রকমে তরমুজের ফলন না পাই তাহলে ঢাকা যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবেনা। মুগ ডাল চাষী সেন্টু পাল জানান, দের একর জমিতে মুগ ডাল চাষ করেছি। বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গাছ বাচানোর জন্য সেচের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হয়ত এভাবে থাকলে কিছু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খেশারী চাষী বাতেন চৌকিদার জানান, ৪ একর জমিতে খেশারী ডাল চাষ করেছি। বৃষ্টির কারনে ক্ষেত সম্পূর্ন পানিতে তলিয়ে গেছে নিজেদের চেষ্টায় সেচের ব্যাবস্থা করছি। না হয় এ ভাবে থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ফেলন ডাল চাষী আলাউদ্দিন শিকদার জানান, আমি সাড়ে ৩ একর জমিতে ফেলন ডাল চাষ করেছি। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে ক্ষেত পুরো তলিয়ে গেছে পানিতে। সেচের ব্যাবস্থা করেছি। কিছু গাছ মরে গেছে। আশা করছি এভাবে থাকলে কিছু পরিমান ক্ষতি হতে পারে। মরিচ চাষী ইদ্রিস খা জানান, আমার সমস্ত মরিচ ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষেত থেকে পানি নিস্কাষন করেছি। কিছু গাছ মরে গেছে। এ ভাবে থাকলে হয়ত কিছু ক্ষতি হবে। এ ভাবে বাদাম ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শব্জি চাষীদের ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারাও কম বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সাধারন কৃষকদের এই মুহুর্তে মাঠে থেকে ক্ষেত পরিদর্শন, পানি নিস্কাষন ও কিছু ক্ষেতে ছত্রাক নাশক স্প্রে করে পচন রোধে ব্যাবস্থা গ্রহন করার পরামর্শ দেন। গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, অতি বৃষ্টির কারনে রবি ফসলের মধ্যে আলুর ক্ষতিই সবচেয়ে বেশী শতকরা তরমুজ ৪০ বাগ , মুগ ডাল ২০ , ফেলন ডাল ১৫ , খেশারী ডাল ২৫, মরিচ শতকরা ১৫, বাদাম ১০ ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক- সবজী শতকরা ১০ ভাগ ফসল নষ্ট হয়েছে। এবিএন/মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/রাজ্জাক
প্রতি হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে, আলু- ৪০ টন, তরমুজ-৫০ টন, মুগ ডাল- ১ টন, খেশারী- ২ টন, ফেলন ডাল- দের টন, বাদাম- সোয়া ৩ টন, মরিচ- ২ টন শুকনা ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শব্জি - সাড়ে ৩৭ টন। উপজেলায় মোট উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে, তরমুজ- ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টন, আলু- ৩০ হাজার টন, মুগ ডাল- ১ হাজার ৫ শত টন, খেশারী- ২ হাজার ১ শত টন, ফেলন- ৩ হাজার ৬ শত ৭৫ টন, বাদাম- ৫ হাজার ৬২৫ টন, মরিচ শুকনা- ৪ হাজার ১ শত টন ও মিষ্টিকুমরা সহ শাক-শবজী -২৬ হাজার ২৫০ টন। প্রতি হেক্টরে খরচ ধরা হয়েছে, আলু- ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, তরমুজ- ২ লক্ষ টাকা, মুগ ডাল- ৪২ হাজার ৫ শত টাকা, খেশারী ডাল- ৩০ হাজার টাকা, ফেলন ডাল- ৪২ হাজার ৫ শত টাকা, মরিচ- ২৫ হাজার টাকা, বাদাম- ৬২ হাজার ৫০০ টাকা ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শবজী ৫০ হাজার টাকা। উপজেলায় মোট খরচ ধরা হয়েছে - আলু- ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, তরমুজ- ১ শত ৫২ কোটি টাকা, মুগ ডাল- ৬৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা, খেশারী ডাল- ৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা, ফেলন ডাল- ৪ কোটি ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, বাদাম- ১১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা, মরিচ- ১০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শবজী - ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এ ব্যাপারে আলু চাষী মুরাদ নগর ও বোয়ালিয়ার, মুছাব্বার, মামুন, মোশারেফ চৌকিদার ও জাকির ফকির জানান, আমরা প্রত্যেকেই দের একর ও ২ একর জমিতে আলু চাষ করেছি। শেষ মুহুর্তে এসে অতি বৃষ্টিতে আলু ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আলু গাছ ও আলুতে পচন ধরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আলু ক্ষেত থেকে পানি নিস্কাষন করার জন্য বিভিন্ন রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি কোন রকম পচন দেখা দেয় তাহলে আমাদের পথে নামার উপক্রম হবে। তরমুজ চাষী জয়নাল মল্লিক কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি ১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি, হঠাৎ অতি বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতে পানি জমে তরমুজ গাছে ফাংগাস রোগে আক্রমন করেছে। ক্ষেত থেকে পানি নিস্কাষনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর কারনে কিছু গাছ মরে গেছে। সুদে টাকা এনে তরমুজ চাষ করেছি। যদি কোন রকমে তরমুজের ফলন না পাই তাহলে ঢাকা যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবেনা। মুগ ডাল চাষী সেন্টু পাল জানান, দের একর জমিতে মুগ ডাল চাষ করেছি। বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গাছ বাচানোর জন্য সেচের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হয়ত এভাবে থাকলে কিছু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খেশারী চাষী বাতেন চৌকিদার জানান, ৪ একর জমিতে খেশারী ডাল চাষ করেছি। বৃষ্টির কারনে ক্ষেত সম্পূর্ন পানিতে তলিয়ে গেছে নিজেদের চেষ্টায় সেচের ব্যাবস্থা করছি। না হয় এ ভাবে থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ফেলন ডাল চাষী আলাউদ্দিন শিকদার জানান, আমি সাড়ে ৩ একর জমিতে ফেলন ডাল চাষ করেছি। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে ক্ষেত পুরো তলিয়ে গেছে পানিতে। সেচের ব্যাবস্থা করেছি। কিছু গাছ মরে গেছে। আশা করছি এভাবে থাকলে কিছু পরিমান ক্ষতি হতে পারে। মরিচ চাষী ইদ্রিস খা জানান, আমার সমস্ত মরিচ ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষেত থেকে পানি নিস্কাষন করেছি। কিছু গাছ মরে গেছে। এ ভাবে থাকলে হয়ত কিছু ক্ষতি হবে। এ ভাবে বাদাম ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক-শব্জি চাষীদের ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারাও কম বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সাধারন কৃষকদের এই মুহুর্তে মাঠে থেকে ক্ষেত পরিদর্শন, পানি নিস্কাষন ও কিছু ক্ষেতে ছত্রাক নাশক স্প্রে করে পচন রোধে ব্যাবস্থা গ্রহন করার পরামর্শ দেন। গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, অতি বৃষ্টির কারনে রবি ফসলের মধ্যে আলুর ক্ষতিই সবচেয়ে বেশী শতকরা তরমুজ ৪০ বাগ , মুগ ডাল ২০ , ফেলন ডাল ১৫ , খেশারী ডাল ২৫, মরিচ শতকরা ১৫, বাদাম ১০ ও মিষ্টি কুমরা সহ শাক- সবজী শতকরা ১০ ভাগ ফসল নষ্ট হয়েছে। এবিএন/মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ