পার্বতীপুরে অবৈধভাবে করতোয়া নদী দখল খননে বাধা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০১৯, ১৮:১৫
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বিএডিসি’র অধীনে করতোয়া নদীর পুনঃখননের কাজ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করেছে কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা। দীর্ঘদিন যাবৎ পুনঃখনন না করায় বিলীন হওয়া মৃত প্রায় এসব নদীর পুনঃখননের কাজ শুরু করেছে বিএডিসি। উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের সিঙ্গিমারী কাজীপাড়া মৌজার উপর দিয়ে যাওয়া জমিরহাট থেকে মুচিরহাট-শনির ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদীর পুনঃখননের কাজ শুরু হলে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মানচিত্রে নদীর বাঁক থাকলেও পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের সিঙ্গিমারী লক্ষণপুর এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীটি নিজ জমির উপর কৃত্রিমভাবে বাঁক এড়িয়ে দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রায় ২একর নদীর জমি ভোগ দখলে রেখেছেন একই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল। স্থানীয়দের অভিযোগ, জাহিদুল ইসলাম তার ১৫শতক জমিতে ক্যানেল তৈরি করে নদীর বাঁক এড়িয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নদীর যায়গা ভোগদখল করে আসছে। এমনকি এসব নদীর অবৈধ দখলের জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্যের নিকট বন্ধক রেখেছেন তিনি। তাই জাহিদুল ইসলামসহ নদীর জমি অবৈধ দখলদাররা এখন মানচিত্রানুযায়ী নদী খননে বাধা প্রদান করছেন।
এলাকাবাসী লোকমান হোসেন বলেন, জাহিদুল ইসলাম তার ১৫শতক জমিতে নদীর ক্যানেল তৈরি বেশ কয়েকজন এখন প্রায় ২ একর জমি দখলে রেখেছেন। অবৈধ দখলকৃত জমি হারানোর ভয়ে বর্তমানে তারা মানচিত্র অনুযায়ী নদী খনন তথা সরকারী কাজে বাঁধা প্রাদান করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এরই মধ্যে পূর্বের রেকর্ড অনুযায়ী করতোয়া নদীর পুনঃখনন না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানুল হকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সাবেক জনপ্রতিনিধি আছাদুল হক সরকার বলেন, নদীর রেকর্ড অনুযায়ী নদী খননে কোন বাধা নেই। নদীর জমি দখলকারীর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ব্যবস্থা না নিলে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমান ইউপির সদস্য আহসান হাবীব এ প্রতিবেদককে বলেন, নদীর রেকর্ডি জমি খনন করলে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির ক্ষতি হতে পারে। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিএন/এম.এ জলিল সরকার/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ